
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাব উদ্দিন জানান, মাদক উদ্ধারের জন্য এসআই শামসুল ইসলামসহ ৬ পুলিশ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৫২-এর ৭এস সাব-পিলারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় যায়। এরপর তারা ২ জন করে ৪টি দলে ভাগ হয়ে ওঁত পাতে। অন্ধকারের মধ্যে কয়েকজন চোরাকারবারী শামসুল ইসলামকে জোর করে জিরো লাইন অতিক্রম করে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে নিয়ে যায়।
৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল মো. জাকির হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রামখানা বিওপির বিজিবি সদস্যরা ওই সীমান্ত এলাকার ভারতের পঞ্চায়েত প্রধানের সহায়তায় এসআই শামসুল ইসলামকে ফিরিয়ে আনে। এরপর তাকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সুপার ডা. মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ জানান, ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নাগেশ্বরী থানার ওসি আব্দুল্ল্যাহ আল সাইদ, এসআই শামসুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, এএসআই হাসান শেখ, কনস্টেবল জাহিদুর ও আমিনুলকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে।