নতুন বিমান সংস্থার পরিকল্পনায় মালয়েশিয়া

SHARE

biman18মালয়েশিয়া সরকার নতুন একটি বিমান সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। নতুন বিমান সংস্থাটির নাম হবে ‘ফ্লাইমোজো’।

লাংকাই ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অ্যান্ড অ্যারোস্পেস প্রদর্শনীতে মঙ্গলবার এ নতুন এয়ারলাইন চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।

এ লক্ষ্যে বোম্বারডিয়ারের সঙ্গে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সই করেছে দেশটি। চুক্তির আওতায় ‘ফ্লাইমোজো’র জন্য ২০টি নতুন উড়োজাহাজ সরবরাহ করবে বোম্বাডিয়ার।

পাশাপাশি আরও ২০টি বিমান সরবরাহের সুযোগও চুক্তিতে রাখা হয়েছে। যার মোট মূল্য হবে ২ বিলিয়ন ৯০০ মিলিয়ন ডলার।

সংস্থাটির জন্য বোম্বারডিয়ারের কাছে মূলত সিএস১০০ এয়ারক্রাফটের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের বিমান ১২৫ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। এ অঞ্চলে ফ্লাইমোজোই প্রথমবারের মত এ ধরনের বিমান ব্যবহার করবে।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের অক্টোবর থেকেই নতুন বিমান সংস্থাটি কার্যক্রম শুরু করবে।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আজিজ কাপরাউই বলেন, “মালয়শিয়ার বিভিন্ন শহরের মধ্যে আকাশ সেবা উন্নতকরণে এ নতুন বিমান সংস্থাটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।”

বোম্বারডিয়ার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানা যায়, “ফ্লাইমোজো একমাত্র সংস্থা যেটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সদর দফতর স্থাপন করেছে। ফলে সেনাই বিমানবন্দরকে আঞ্চলিকভাবে আকাশসেবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করতে পারবে ফ্লাইমোজো। এর মাধ্যমে সংস্থাটি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারবে।”

সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মালয়েশিয়া। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরের দুর্ঘটনায় মালয়েশিয়ার সাশ্রয়ী সংস্থা এয়ারএশিয়ার একটি উড়োজাহাজ জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৬২ জন যাত্রী নিহত হন।

গত বছরের জুলাইয়ে, ইউক্রেনে মালয়েশিয়ার একটি বিমান বিদ্রোহীদের গুলিতে ভূপাতিত হলে ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।

এর আগে বছরের মার্চে, কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে দেশটির একটি বিমান হারিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত এর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সূত্র: বিবিসি।