গাজা উপত্যকা থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ইতালির এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া এক তরুণী মারা গেছেন। হাসপাতালটি শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
২০ বছর বয়সী ওই তরুণীকে ইতালির গণমাধ্যমে মারাহ আবু জুহরি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যকার রাতে ইতালির সরকারের মানবিক ফ্লাইটে তিনি পিসা শহরে পৌঁছন।
পিসার ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল এদিন জানায়, তার ‘খুব জটিল ক্লিনিক্যাল অবস্থা’ ছিল এবং তিনি মারাত্মক ওজন ও মাংসপেশির ক্ষয়ে ভুগছিলেন। তার শরীরের ওজন ও পেশি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, শুক্রবার পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু করার পর তিনি হঠাৎ শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ওই তরুণীকে তার মায়ের সঙ্গে ইতালির বিমানবাহিনীর একটি ফ্লাইটে নেওয়া হয়।
এ সপ্তাহে রোম, মিলান ও পিসায় মোট তিনটি ফ্লাইটে ৩১ জন রোগী ও তাদের স্বজনদের নেওয়া হয়েছে।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব রোগীর সবাই গুরুতর জন্মগত রোগ, ক্ষত বা অঙ্গচ্ছেদের শিকার। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের বেশি শিশু ও তরুণ-তরুণীকে গাজা থেকে ইতালিতে নেওয়া হয়েছে।
ইতালির তাসকানি অঞ্চলের প্রধান ইউজেনিও জিয়ানি ওই তরুণীর পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।
হাসপাতালটি তার অসুস্থতার কারণ বিস্তারিত জানায়নি। তবে তিনি মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছিলেন বলে ইতালির সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, মানবিক সংস্থা, জাতিসংঘের সংস্থা ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলা চালালে এক হাজার ২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এরপর ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক আক্রমণ শুরু করলে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রায় সাড়ে ৬১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ পরিসংখ্যানকে জাতিসংঘও বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে।