অপাটেরদের বিটিআরসি’র তিন নির্দেশনা

SHARE

btrc15অপারেটরেদের বিভিন্ন সেবা, অফার, নম্বর প্ল্যান, ব্যবহার নোটিফিকেশন, ট্যারিফ ও চার্জ, প্রচারমূলক কাযক্রম, মার্কেট কমিউনিকেশন, মোবাইল সংযোগ অকার্যকর, পুনরায় সচল, পুনরায় বিক্রি (রি-সেলিং) ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তিনটি নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। নির্দেশনা দিয়েছে সংযোগ বন্ধ থাকলেও ৭৩০ দিন পর্যন্ত গ্রাহকের নম্বর সংরক্ষণের। টেনে ধরা হয়েছে মোবাইলফোন অপারেটরদের চটকদারি বিজ্ঞাপনের লাগাম।

ফলে এখন থেকে নিজেদের অফারকে আর ‘সেরা’ দাবি করে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না মোবাইল অপারেটররা। এছাড়াও অব্যবহৃত সিম বিক্রির ক্ষেত্রে তিন মাস আগে অন্তত তিনটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া এবং নম্বরগুলো অপারেটরদের নিজ নিজ ওয়েবপেজ, সেবাকেন্দ্র এবং বিটিআরসি’র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশের নিয়ম চালু করা হয়েছে।

একইসঙ্গে পুন:বিক্রিত সিমে অতিরিক্ত দাম না ধরে বাজার মূল্যে বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। নির্দেশনা অনুযায়ী, টানা ৯০ দিন কোনো সিম অব্যহৃত থাকলে তা নি:ষ্কৃয় হিসেবে গণ্য হবে। অবশ্য নূন্যতম পরিমান টাকা টপআপ করা হলে সিমটি আবারও সচল হয়ে যাবে। মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১০ থেকে ৩০ টাকা রিচার্জে ১০ দিন, ৩১ থেকে ৫০ টাকায় ১৫ দিন, ৫১ থেকে ১৫০ টাকায় ৩০ দিন, ১৫১ থেকে ৩০০ টাকায় ৪৫ দিন, ৩০১ থেকে ৫০০ টাকায় ১০০ দিন, ৫০১ থেকে ৯৯৯ টাকায় ১৮০ দিন এবং এক হাজার বা তার বেশি টাকা রিচার্জে ন্যূনতম এক বছর মেয়াদ দিতে হবে।

অপরদিকে সিমটি যদি ৩৬৫ দিনের বেশি অব্যবহৃত থাকে তবে এটি সচল করতে গ্রাহককে ১৫০ টাকা রিচার্জ করতে হবে এবং টানা দুই বছর সংযোগ বন্ধ থাকলে গ্রাহক সেই মোবাইল ফোন সংযোগের মালিকানা হারাবেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা পরের মাসে কেনা প্যাকেজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগের মাসের অব্যহৃত ডাটা শেষ হলে তবেই নতুন ডাটা ব্যবহারের সুযোগ দিতে অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় ১০০ মেগার নিচে ১ বার, ১০০-৫০০ মেগার মধ্যে ২ বার এবং ৫০০ মেগার বেশি প্যাকেজের ডাটার ক্ষেত্রে গ্রাহককে ৩ বার নোটিফিকেশন পাঠাতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে বেশি ডাটার ক্ষেত্রে প্রথমবার মোট ডাটার ৫০ ভাগ এবং দ্বিতীয়বার ৮০ ভাগ ডাটা শেষ হলে গ্রাহককে নোটিফিশেন পাঠাতে বলা হয়েছে। ডাটা শেষ হলেও নোটিফিকেশন দিতে হবে এবং ডাটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইন্টারনেটের ব্যবহার চালিয়ে যেতে গ্রাহককে জানাতে হবে কীভাবে চার্জ ধরা হবে। গত ১২ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ‘ডাইরেকটিভস অন সার্ভিস অ্যান্ড ট্যারিফ ২০১৫’ শীর্ষক ২১ পৃষ্ঠার এই নির্দেশনা জারি করা হয়।