দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রেখেছেন আদালত। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার পক্ষে করা সব আবেদন নথিভুক্ত করে আগামী ৫ এপ্রিল আবারও শুনানির দিন রাখা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার, আদেশ সংশোধন, জামিন বহাল ও সাক্ষ্য পেছানোর আবেদনের ওপর শুনানি করেন তার আইনজীবীরা।
শুনানিতে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতকে জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে পারছেন না।
পরপর তিনটি ধার্য দিবসে হাজির না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামিরা উপস্থিত না থাকায় প্রথম সাক্ষীর জেরা বাতিল করে পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য ৪ মার্চ দিন ঠিক করা হয়।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির এ দুই মামলায় সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর হাজিরা দিয়েছিলেন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতের বিশেষ এজলাসে। ওই দিন তার হাজিরাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক হট্টগোল হয়েছিল।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতিতে ৫ জানুয়ারি উপলক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে গত ৩ জানুয়ারি গুলশানের নিজ কার্যাালয়ে গিয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন।
কার্যালয়ের সামনে পুলিশ পাহারা বসিয়ে তাকে সেখান থেকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি বলে তখন দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। তবে পরে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হলেও কার্যালয়েই অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকো গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে মারা যান। বুধবার গুলশান কার্যালয়ে কোকোর চেহলামের আয়োজন করেছেন খালেদা জিয়া।