১৫১ রানেই অলআউট হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ।
শনিবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩২ ওভার ২ বলে ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ফিঞ্চকে বোল্ড করে তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন টিম সাউদি। তবে তাতেও কমেনি অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি। শেন ওয়াটসনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ওয়ার্নার।
দ্বিতীয় উইকেট জুটির ৫০ রানের প্রতিরোধ ভাঙেন ড্যানিয়েল ভেটোরি। ১ উইকেটে ৮০ রানে পৌঁছে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপর্যয়ের শুরু তার বলে ওয়াটসনের বিদায়ে।
সীমানায় ওয়াটসনের ক্যাচ নিয়ে বল করতে এসেই ওয়ার্নারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাউদি। রিভিউ নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু বদলায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
স্টিভেন স্মিথকে লুক রনকির ক্যাচে পরিণত করে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলেন ভেটোরি।
প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ২৪ রান দেয়া বোল্ট ভয়ঙ্কর হয়ে ফেরেন দ্বিতীয় স্পেলে। এই স্পেলের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শকে ফিরিয়ে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটসম্যানই ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি মাইকেল ক্লার্ক। শর্ট কাভারে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে বোল্টের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
পরের ওভারে ফিরে মিচেল জনসন ও মিচেল স্ট্যার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেন বোল্ট। জনসন শর্ট কাভারে উইলিয়ামসনের ক্যাচে পরিণতত হন আর স্ট্যার্ক বোল্ড হয়ে যান।
১ উইকেটে ৮০ থেকে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর পরিণত হয় ৯ উইকেটে ১০৬ রানে। অর্থাৎ ২৬ রান যোগ করতে ৮ উইকেট হারায় দলটি।
বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা থেকে অস্ট্রেলিয়াকে বাঁচানোর কৃতিত্ব ব্র্যাড হ্যাডিনের। পাল্টা আক্রমণে ৪৩ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দশম উইকেটে প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি।
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন রান ১২৯। ১৯৮৩ সালের আসরে ভারতের বিপক্ষে এই রান করেছিল তারা।
বোল্টের দ্বিতীয় স্পেলটি এমন ৫-৩-৩-৫। সব মিলিয়ে ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার।