সেনা হস্তক্ষেপ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে মন্ত্রিসভায়। এ কথোপকথনকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনেকেই মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ মান্নাকে বিএনপির ‘পেইড এজেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সংবাদমাধ্যমে মাহমুদুর রহমান মান্নার দু’টি পৃথক অডিও প্রকাশ হয়। বৈঠকে ওই অডিও নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেউ কেউ মান্নার আগের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। তারা বলেন, মান্না একেক সময় একেক দল করেছেন। কখনো জাসদ, কখনো বাসদ, এরপর আওয়ামী লীগ-এভাবে দলবদল করেছেন। তার নিজের রাজনৈতিক কোনো চরিত্র নেই। এ নিয়ে হাস্যরসও হয় মন্ত্রিসভায়। আবার কেউ কেউ বলেছেন, মান্নার বড় ভাই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ করতেন মান্নার বড় ভাই। ঘটনাচক্রে হয়তো মান্না জাসদে যোগ দিয়েছিলেন। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র: প্রথম আলো