দশ দলের বিশ্বকাপ প্রায় চূড়ান্ত

SHARE

england230সিদ্ধান্তটা প্রায় নিয়েই ফেলেছে আইসিসি। বাকি কেবল চূড়ান্ত অনুমোদনের। ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেট হয়ে যাচ্ছে ১০ দলের প্রতিযোগিতা। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আভিজাত্য বজায় রাখতে এবং ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতেই নাকি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের ভাষায়, বিশ্বকাপের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতেই ১০ দলের সিদ্ধান্ত, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যে ১০টি দল বিশ্বকাপে খেলবে, সেই দলগুলোর যেন প্রতিটিই বিশ্বকাপ জয়ের উপযোগী হয়। তারা যেন প্রতিটি প্রতিটিকে হারাতে পারে।’
১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ আসরটিই নাকি আইসিসিকে দশ-দলীয় বিশ্বকাপে উৎসাহী করে তুলেছে। ব্যাপারটি জানিয়েছেন রিচার্ডসন নিজেই, ‘বিরানব্বই বিশ্বকাপকে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বকাপ হিসেবে ধরা যায়। সেবার অংশগ্রহণকারী নয়টি দেশ প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মুখোমুখি হয়েছিল লিগ পদ্ধতিতে। রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের শেষ পর্যায়ে এসেও বোঝা যাচ্ছিল না কোন চারটি দেশ সেমিফাইনালে খেলবে। আমরা বিশ্বকাপে ঠিক এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই সৃষ্টি করতে চাই।’
বিশ্বকাপ ১০ দলের হয়ে গেলে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো উদীয়মান ক্রিকেট-শক্তিগুলোর কী হবে; আইসিসির এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেট খেলাটিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার পথে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করবে কি না—এ নিয়ে কিন্তু আলোচনা এই মুহূর্তে তুঙ্গে। শচীন টেন্ডুলকারের মতো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বও আইসিসির এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘নতুন চিন্তা ক্রিকেটের ছড়িয়ে পড়া ব্যাহত করবে। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো উদীয়মান ক্রিকেট-শক্তির বিকাশ ব্যাহত হবে। সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী বিশ্বের অনেক দেশই খেলাটিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হবে।’
টেন্ডুলকার মনে করেন, আইসিসির উচিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধির নামে বিশ্বকাপে দল না কমিয়ে তথাকথিত ‘ছোট দল’গুলোর ক্রিকেটীয় শক্তি বৃদ্ধিতে সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়া। এ ব্যাপারে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোরও কার্যকর ভূমিকা রাখার পক্ষে তিনি, ‘দল কমানোটা ঠিক হবে না। আইসিসির উচিত তথাকথিত দুর্বল দলগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করা। আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি করা। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো যদি নিয়মিত আফগানিস্তান, হল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে নিজেদের “এ” দল পাঠায়, তাহলে তা ওই দেশগুলোর ক্রিকেট উন্নয়নে সহায়ক হবে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ ১০ দলের হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ১৬-তে উত্তীর্ণ করার ব্যাপারটিও নাকি এক প্রকার চূড়ান্তই। সূত্র: পিটিআই।