নয়ের দশকে রজার মিল্লারের কর্নার ফ্ল্যাগ ধরে নাচ এখনও বিখ্যাত৷ সেনেগালের পাপা-বোউবা দিয়পের নেতৃত্বে ব্রেক ডান্সও নিয়েও কম আলোচনা হয়নি৷ আফ্রিকার দেশগুলোর মাঠে নাচের সংস্কৃতি নতুন নয়৷ কিন্ত্ত, সোমবার আফ্রিকান নেশন্স কাপে যা হলো, তা অতীতের সব নাচকে ছাপিয়ে গিয়েছে৷ কঙ্গো গণতন্ত্রের গোলকিপার রবার্ট কিদিয়াবা নিশ্চিত হার বাঁচিয়ে মাঠের মধ্যে বসে নাচতে নাচতে ক্রমাগত এগিয়ে চলেন পা এবং হাতের অদ্ভুত ভঙ্গি করে৷ এই নাচকে বলা হয় ‘বাম ডান্স৷’ বলা হচ্ছে, এটাই বিশ্ব ফুটবলে গোলকিপারদের সেরা উচ্ছ্বাসের ছবি।
তার দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো তখন প্রতিপক্ষ কঙ্গোর কাছে ০-২ পিছিয়ে৷ আফ্রিকান্স নেশন্স কাপ থেকে ছিটকে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত৷ এর পর দু’টো গোল খেলার চেহারা বদলে দেয়৷ তৃতীয় গোলের পর তার টিমমেটরা যখন উচ্ছ্বাসে মেতেছেন, তখনই কিদিয়াবার ওই অদ্ভুত নাচ৷ যা এখন বিশ্ব ফুটবল মহলে চর্চার বিষয়৷ কী ভাবে বসে নাচতে নাচতে খরগোশের মতো এগিয়ে যাওয়া যায়, তা না দেখলে বিশ্বাস হয় না৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মারাত্মক টেনশন থেকে বেরিয়ে আসার পর এমন স্বতস্ফূর্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ এই নাচের মধ্যে দিয়ে হয়েছে৷ ৮২ মিনিটে তিনি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দলকে সেমিফাইনালে তুলেছেন৷