ব্যক্তিগত ১৯ রানেই থামার কথা ছিল হ্যারি ব্রুকের। সেই ব্রুক সেঞ্চুরির পর থামলেন ১১১ রানে। ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির জন্য মোহাম্মদ সিরাজকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন তিনি।
সিরাজের বদান্যতায় তো তিন অঙ্ক স্পর্শের সুযোগ পেয়েছেন ব্রুক।
অন্যথা ১৯ রানেই থামতে হতো তাকে। ইনিংসের ৩৫ ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার প্রথম বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দারুণভাবে লুফেও নিয়েছিলেন সিরাজ। কিন্তু ক্যাচ ধরে স্বাভাবিকভাবে দাঁড়ানোর আগেই তার ডান পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করে।
অথচ সিরাজ ক্যাচ ধরার সঙ্গে সঙ্গে পেসার কৃষ্ণাসহ ভারতীয় ক্রিকেটার খুশিতে আটখান্না হয়েছিলেন। তার এমন ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যেই হতাশা নেমে আসে ওভালে। আর সিরাজের অভিব্যক্তি এমনই ছিল যে তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না। জীবন পেয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি ব্রুক।
উল্টো তার চার-ছক্কার সময় ক্যামেরাম্যান ফ্ল্যাশব্যাকে ক্যাচ মিসের ঘটনা বহুবার দেখিয়েছেন। সঙ্গে সিরাজের হতাশ মুখায়ব দেখাতে থাকেন।
জেমস অ্যান্ডারসন-শচীন টেন্ডুলকার সিরিজে দ্বিতীয় শতক পেয়েছেন ব্রুক। তিন অংক স্পর্শ করেন ওয়াশিংটন সুন্দরের ওভারে। দলীয় ৬১তম ওভারের পঞ্চম বল ডিপ থার্ডে ঠেলে দিয়ে ডাবল নিয়ে উদযাপনের শুরু করেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার।
অন্যদিকে ভারতের ক্রিকেটারদের হতাশা বাড়তেই থাকে।
ওয়ানডে স্টাইলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ব্রুক। ৯১ বলে। আকাশ দীপের বলে আউট হওয়ার আগে ১১১ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৪ চার ও ৪ ছক্কায়। আউট হওয়ার আগে জো রুটের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৯৫ রানের জুটি গড়েন তিনি।
ব্রুকের সেঞ্চুরিতে ওভাল টেস্টে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ইংল্যান্ড। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জিততে ৭২ রান প্রয়োজন। ৩৭৪ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের স্কোর ৪ উইকেটে ৩০২ রান। ব্যাটিংয়ে জো রুটের সঙ্গে জ্যাক বেথেল। ৮৪ রানে অপরাজিত আছেন রুট। অন্যদিকে বেথেল ১ রানে।