বানরের বাঁদরামি রুখতে ভরসা হনুমান। এ ছাড়া আর গতি নেই। তাই তো ভারতের আগ্রা শহরে শহরবাসী এখন হনুমানেই ভরসা রেখেছেন।
কখন কোথায় বানরকুল হানা দেবে তা বুঝে ওঠা দায়। বিশেষ করে আগ্রা শহরে বিয়েবাড়ি ও অনুষ্ঠানবাড়িগুলি এখন বানর আতঙ্কে আতঙ্কিত। যে কোনো সময় বিবাহবাসরে ঢুকে বর-কনে-বরযাত্রী সহ অতিথিদের আক্রমন করছে বানরকুল।
খাবার দাবার ফেলে আঁচড়ে-কামড়ে তছনছ করে ছাড়ছে। বানরকুলের হানার আশঙ্কায় তটস্ত সকলেই। বানরের উপদ্রবের হাত থেকে বাঁচার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না বর-কনের পরিবার থেকে বিয়ে বাড়ির মালিক আয়োজকরাও।
এমনকি বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানবাড়ির কর্তারাও বানরের উপদ্রব সামলাতে এখন পেশাদার হনুমান হ্যান্ডলারদের শরানাপন্ন হতে শুরু করেছেন। কনের পরিবাররা বিয়ে বাড়ি বুকিং করার আগেই হনুমান হ্যান্ডলারদের বুকিং করতে শুরু করে দিয়েছেন। মূলত হনুমান দেখলে বানর আর সেই এলাকায় ঢোকে না। আর সেই তত্বকে হাতিয়ার করে বানর ঠেকানোর কৌশল নিয়েছেন আগ্রার মানুষ। আগ্রার বিয়ে বাড়ি বা যে কোনো অনুষ্ঠানবাড়িতে এখন রক্ষী হনুমান। আর এই মওকা বুঝে হনুমান হ্যান্ডলার বা হনুমান পালকরা মোটা দাও মারতে আরম্ভ করে দিয়েছেন।
এ সময় মূলত বিয়ের মরসুমে হনুমান হ্যান্ডলারদের চাহিদা তুঙ্গে। অভিনব এই পরিষেবার জন্য হনুমান হ্যান্ডলারদের সঙ্গে এখন প্রতিনিয়ত অনুষ্ঠান কর্তাদের দর দস্তুর চলছে।
বানরের হাত থেকে সুরক্ষার জন্য হনুমান রক্ষী বাবদ হনুমান হ্যান্ডলারদের দাবি অনুষ্ঠান বাড়ি প্রতি ৫০০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা। অগ্রিম বুকিংযে হনুমান হ্যান্ডলারদের দিতে হচ্ছে ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
আপতকালীন দর ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত ওঠানামা করছে। অবশ্য অনেক অনুষ্ঠান বাড়ির কর্তারা ইতিমধ্যেই সারা বছরের জন্যই হনুমান হ্যান্ডলারদের সঙ্গে চুক্তি করে নিতে আরম্ভ করে দিয়েছেন। আগ্রার বুকে বাঁদরের তান্ডবে প্রতিমাসে গড় হিসাবে ৪০ থেকে ৫০ জন মানুষ আক্রান্ত হন। ফলে বানরের এই উপদ্রব ঠেকাতে এখন হনুমানকেই হাতিয়ার করেছেন আগ্রাবাসী।