একটু বেশি সময় লাগবে: হানিফ

SHARE

hanif14বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বড় সন্ত্রাসী সংগঠনকে দমন করতে একটু বেশি সময় লাগবে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার ওয়াসা ভবনের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত ২০ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ১৯ জানুয়ারি শাহবাগে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের এক সভায় মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছিলেন, সাতদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

শ্রমিক লীগের সমাবেশে হানিফ বলেন, “আপনারা জানেন একটি দেশে সন্ত্রাসী থাকে ১ শতাংশ বা তারও কম। কিন্তু বিএনপির ৩০ শতাংশ জনসমর্থন রয়েছে। সারা দেশে লাখ লাখ নেতা-কর্মী রয়েছে।”  এসময় তিনি এসকল নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উদ্ধুদ্ধ করে রাষ্ট্রের ক্ষতি না করতে বিএনপিকে আহ্বনা জানান।

খালেদা জিয়ার উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনার ছেলে কোকোর সন্তানদের পরীক্ষার জন্য মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দিয়েছেন। আপনার নাতির ভবিষ্যত নিয়ে আপনি বিচলিত, অথচ  দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না। এতে আপনার লজ্জা হয় না। দেশের মানুষ আপনাকে এখন বিএনপির নয়, সন্ত্রাসের নেত্রী হিসেবে ভাবেন।”

হানিফ বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে বিএনপি নেত্রী। তথা কথিত হরতাল-অবরোধের নামে তিনি বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, কিন্তু বাংলার ১৬ কোটি মানুষ তার (খালেদা জিয়া) এই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন করতে দিবে না।”

ইউটিউবে খালেদা জিয়ার সংলাপ প্রকাশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, “সেখানে শোনা গেছে চট্টগ্রামে সমাবেশের নাম করে নাশকতা চালানোর জন্য বিএনপি নেতা চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আমির খসরু মাহমুদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু আমির খসরু এতে রাজি হন নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া সভাপতিকে ডিঙ্গিয়ে বিএনপি নেতা গোলাম আকবরকে ফোন করেছিলেন এ কাজের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এতেই প্রমাণিত হয় সারাদেশে যত পেট্রোলবোমা মারা হচ্ছে। এর হুকুমদাতা খালেদা জিয়া।”

আয়োজক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নারায়ন দেব নাথ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।