অসহায়দের পাশে দাঁড়ালেই ঈদ অর্থবহ হবে : তথ্যমন্ত্রী

SHARE

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনার শুরু থেকেই প্রায় সব সংসদ সদস্য নিজ এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। কিন্তু দেশে একটি চিহ্নিত মহল আছে, যারা বিরাজনীতিকরণ করতে চায় এবং তাদের অনেকেই ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সমর্থক ও সুবিধাভোগী।

আজ রবিবার ঢাকায় তার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এই মহলটি রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যদের হেয় প্রতিপন্ন করার অশুভ উদ্দেশ্যে এ ধরণের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট পরিবেশন করে, যা সমীচীন নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ঘরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল, সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য। আর সংসদ সদস্যরা এলাকায় গেলে কিছু লোকসমাগম হয়ই। সেটি যথাসম্ভব এড়ানোরও প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থ, যাদের বাসায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তারা ও দু’একজন ব্যতিক্রম বাদে প্রত্যেক সংসদ সদস্যই নিজ এলাকায় ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন ও নিচ্ছেন।

ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য এলাকায় গিয়ে বসে থাকতে হয় না বা নিজের হাতেও ত্রাণ দিতে হয় না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এলাকায় না গিয়েও লোকজনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা যায় এবং সেটি প্রত্যেক সংসদ সদস্য শুরু থেকেই করে আসছেন।

মন্ত্রীদের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বন্ধের মধ্যেও বেশিরভাগ মন্ত্রীরই সরকারি কাজ ছিল এবং আছে। প্রত্যেকেকেই বিভিন্ন কাজ তদারক করতে হয়েছে।’ নিজ মন্ত্রণালয়ের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই খোলা, পূর্ণ বন্ধের মধ্যেও আমরা প্রতিদিন অফিস করেছি। আরো কিছু মন্ত্রণালয়ও কাজ করেছে।’

নিজ এলাকায় করোনা মোকাবিলার কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান জানান, এরমধ্যেই বেশ কয়েকবার আমাকে এলাকায় যেতে হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগীয় সমন্বয় সভা করতে হয়েছে। এলাকায় থেকে ত্রাণ তদারক ও বিতরণের পাশাপাশি ঢাকা থেকেও আমি যেমন প্রতিদিন এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছি, তেমনি অন্য সংসদ সদস্যরাও নিচ্ছেন।’

এ সময় দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানান তথ্যমন্ত্রী। করোনার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবারের ঈদ উদযাপনে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করমর্দন ও কোলাকুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোতেই ঈদ অর্থবহ হবে বলেন হাছান মাহমুদ।