ঔষধ জ্ঞানে অ্যালকোহল খেয়েও ইরানে অনেক করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে

SHARE

করোনাভাইরাস যদি ইরানে বিশাল সংখ্যক মৃত্যুর কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, তার পরেও সরকারের অবহেলা এবং আতঙ্কিত হয়ে মানুষজন ভুল পথে চালিত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এরই মধ্যে সে দেশের আহওয়াজি শহরের মানুষজন করোনাভাইরাসে আত্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্কের মধ্যে অতিরিক্ত মদ্যপানে মারা যাচ্ছে।

আহওয়াজি অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আহওয়াজি এলাকার লোকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেওয়ার বদলে অ্যালকোহল পান করছেন।

ওইসব অ্যালকোহল তারা খাচ্ছেন, নিজেদের শরীরের (ভেতরের জীবাণু) ময়লা পরিষ্কার করার জন্য। সেখানকার করোনা আক্রান্ত তিনশ জনের মধ্যে অন্তত ৪৪ জন মঙ্গলবার পর্যন্ত এভাবে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করে মারা গেছেন।

তারা লোকাল যে অ্যালকোহল পান করছেন, সেগুলোতে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো রয়েছে। ফলে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অবস্থায় ওইসব অ্যালকোহল পান করে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক হচ্ছে তাদের।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা অ্যালকোহল পান করছেন, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, আতঙ্কিত হয়ে মদ্যপানে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের বয়স ১৬ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এখন পর্যন্ত ১৬ বছর বয়সের নিচে একজন মারা গেছেন।

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রথমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, অ্যালকোহল পান করলে করোনা সেরে যায়। তবে কারা এই গুজব ছড়িয়েছে, তা এখনো জানতে পারেনি ইরান সরকার।

যদিও ইরানের আইনে সব ধরনের অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। তবে কিছু জায়গায় গোপনে অ্যালকোহল বিক্রি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘুষ দিয়ে এবং লুকোচুরি করে তারপরেও মাদক বিক্রি হয়।

আহওয়াজি এলাকার মানুষজন যেসব অ্যালকোহল পান করছে, সেসব চিকিৎসা খাতে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স নিয়ে বানানো। সচরাচর ওষুধের দোকানগুলোতে এসব পাওয়া যায়।

তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা এসবের সঙ্গে ভেজাল মিশিয়ে অন্য পানীয়ের বোতলে করে বিক্রি করেন। অনেক সময় সোডা কিংবা ডিটারজেন্টও মেশানো হয় এসব অ্যালকোহলে। যেসবের প্রভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।