এক দিন পরই ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার। আজ মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৪৮ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ, লেনদেন শেষে অবস্থান করছে ৪ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৪৩ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে গতকাল শেয়ারবাজারের সূচকের ওপর দিয়ে যেন ঝড় বয়ে যায়। সেই ঝড়ে ভালো-মন্দনির্বিশেষে সব শেয়ারের দাম পড়ে যায়। গত আট বছরের বেশি সময়ের ব্যবধানে সূচকের সর্বোচ্চ পতন ঘটে। দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি ২৭৯ পয়েন্ট বা সাড়ে ৬ শতাংশ কমে চার হাজারের ঘরে নেমে আসে। ৯৯ শতাংশ শেয়ারের দাম কমায় এক দিনে বাজার মূলধন কমে ১৭ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। এর আগের দিনও সূচকটি ৯৭ পয়েন্ট কমে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কেই পুঁজিবাজারে এই ধস নামে। আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এটা সাময়িক প্রভাব। কেটে যাবে।
ডিএসইতে আজ ৩২৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসের চেয়ে ১৭১ কোটি টাকা কম। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৯৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে আজ ৩৫৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৩টির, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো স্কয়ার ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, গ্রামীণফোন, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড, বিকন ফার্মা, এসকে ট্রিমজ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
অন্যদিকে, সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮০টির, কমেছে ৪৯টির, অপরিবর্তিত ১৪টির।