কলকাতায় মরসুমের শীতলতম দিন, কাঁপছে উত্তর ভারত

SHARE

কলকাতার শীত বোধহয় অপেক্ষা করছিল বড়দিনের জন্য। ২৫-এর রাত কাটতেই না কাটতেই ঠাণ্ডা জাঁকিয়ে বসছে শহরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার ছিল মরসুমের শীতলতম দিন। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। কলকাতার পাশাপাশি ঠাণ্ডায় কাঁপছে রাজ্যের বাকি জেলাও। বাঁকুড়া থেকে শ্রীনিকেতন, দার্জিলিং থেকে কৃষ্ণনগর জবুথবু মানুষদের ছবিটা প্রায় একই। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।image_111681_0

বেশ কয়েক দিন ধরেই শহর কলকাতায় একটা শীত শীত ভাব থাকলেও সে ভাবে পড়ছিল না ঠাণ্ডা। আবহবিদরা এর জন্য দায়ী করছিলেন মেঘলা আকাশকে। এর জন্য উত্তুরে হাওয়া সে ভাবে বইতে পারছিল না। কিন্তু এখন আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় বাড়তে শুরু করেছে হাওয়ার দাপট। এই পরিবেশ আপাতত কয়েক দিন বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস, ফলে বজায় থাকবে ঠাণ্ডা।

শীতের জন্য হা-পিত্যেশ করে থাকা রাজ্য এই পরিবেশকে স্বাগত জানালেও দেশের উত্তরের রাজ্যগুলির হাল কিন্তু বেশ খারাপ। প্রায় সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। সঙ্গে রয়েছে কনকনে হাওয়ার দাপট আর ঘন কুয়াশা। ঠাণ্ডায় কাঁপতে থাকা রাজ্যগুলিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় উত্তর ভারতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। ৪ ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিয়ে কাঁপছে দেশের রাজধানীও। রেল দফতর সূত্রে খবর, রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ ৯০টি ট্রেন দেরিতে চলছে।

পাঞ্জাব এবং প্রতিবেশী হরিয়ানার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলায় ঘন কুয়াশায় জিপ-ট্রাক সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। একই কারণে উত্তরপ্রদেশে মৈনপুরিতে পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিন জন। কাশ্মীর উপত্যকার বেশ কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের নীচে। লাদাখের তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি নীচে। প্রায় জমে যাওয়া ডাল লেক দিয়ে কোনোমতে চলছে শিকারা।- ওয়েবসাইট।