ভারতীয়র হাতেই ‘তিন মোড়ল’ নীতির আনুষ্ঠানিক পতন হলো আজ

SHARE

আইসিসি এবং ক্রিকেটকে নিজেদের কুক্ষিগত করে রেখেছিল ‘তিন মোড়ল’ খ্যাত ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। তবে সব মোড়লদেরই তো শেষ সময় আসে। আইসিসিত ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডেরও প্রভাব এবার আরও কমে গেল। এক ভারতীয়র হাতেই পতন হলো এই কুখ্যাত নীতির। তিনি আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। যাকে বলা হচ্ছে জগমোহন ডালমিয়ার পরবর্তী সবচেয়ে কার্যকরী চেয়ারম্যান।

বিতর্কিত রেভিনিউ বন্টন ব্যবস্থা সংস্কার করে এই ব্যবস্থা আইসিসিতে আগেই বাতিল করে দিয়েছিলেন তিনি। আজ আইসিসির সবচেয়ে শক্তিশালী কমিটি-ফিন্যান্স ও কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এহসান মানি। বলা হচ্ছে, এই নিয়োগের মাধ্যমেই আইসিসির আর্থিক অঙ্গনে তিন মোড়লের দাদাগিরির অবসান হলো।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, গত ১০ বছর ধরে এই তিন দেশের বাইরে মাত্র একজন কর্মকর্তা ফিন্যান্স ও কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার কমিটিতে ছিলেন। তবে শীর্ষপদে মোড়লদের বাইরে কেউ বসতে পারেননি! পিসিবি প্রধান এহসান মানি ১৭ বছর পর এই পদে ফিরলেন। এর আগে আরেক নন্দিত ভারতীয় ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব জগমোহন ডালমিয়ার আমলে ১৯৯৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেছেন এহসান মানি। এই এহসান মানিই ৫৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের সম্প্রচার চুক্তি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন।

আইসিসির এফ এন্ড সিএ-র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা পিসিবি প্রধান এহসান মানি। ছবি : ক্রিকইনফো

লক্ষণীয় বিষয় হলো, লন্ডনের অনুষ্ঠিত আইসিসি বার্ষিক সভায় শশাঙ্ক মনোহরই এফ এন্ড সিএ-র প্রধান হিসেবে এহসান মানির নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীনিবাসন-এডওয়ার্ডস-ক্লার্কদের আমলে এই কমিটি তিন মোড়লের স্বার্থবৃদ্ধি করে অদ্ভুত এক রেভিনিউ ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম তৈরি করেছিল। যে কারণে ভারত-ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া আইসিসির লভ্যাংশের একটি বড় অংশ পেত। ২০১৭ সালে এই শশাংক মনোহরই এই বিতর্কিত নীতি বাতিল করে তিন মোড়লের পতনের শুরু ঘটান।

আইসিসির এই দুই কমিটির প্রধান হিসেবে এহসান মানি নিয়োগ পাওয়ার পর স্বাগত জানিয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার আইসিসি অডিট কমিটিতেও আছেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি বড় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন যা ক্রিকেটকে আরও বদলে দেবে। এর মধ্যে আইসিসির পরবর্তী ইভেন্টসমূহ নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। একইসঙ্গে সম্প্রচার সত্ত্ব নিয়েও নতুন কোনো চমক দেখিয়ে দিতে পারেন এহসান মানি।