ভারতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, প্যানেলে ইন্দু মালহোত্রা

SHARE

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্টেরই এক নারী কর্মী। ওই মামলায় গঠন করা হয় তিন বিচারপতির প্যানেল। সেখানে বিচারপতি এন ভি রামান্নার নথিভুক্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন অভিযোগকারী।

এরপরই বিচারপতি এন ভি রামান্নাকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিচারপতিদের ওই প্যানেল থেকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় নারী বিচারপতি তিনি। গত বছর এপ্রিলেই দায়িত্বগ্রহণ করেন ইন্দু। দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্তা নিয়ে যে সংস্থা কাজ করার ক্ষেত্রে এই দেশে পথিকৃৎ, সেই বিশাখা কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।

এ ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টে ঘরের মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগের মামলাগুলোও দেখতেন তিনি।

অভিযোগকারীর বক্তব্য, বিচারপতি রামান্না মূল অভিযুক্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর অতি ঘনিষ্ঠ এবং ‘পারিবারিক বন্ধু’। তাই তাঁকে এই মামলার বিচারপতিদের প্যানেলে রাখা কোনোভাবেই উচিত নয়। অভিযোগকারীর বক্তব্য, ওই প্যানেলে আরও বেশি করে মহিলা বিচারপতিদের জায়গা হওয়া উচিত। যদিও, এই অভিযোগকে বিচারপতি রামান্না সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। যদিও, তারপরেও ‘বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠার সুযোগ দিতে চান না’ বলে সরে দাঁড়ান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই প্রধান বিচারপতি ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত বিচারপতিদের উপস্থিতিতে তাঁদের মত নিয়েই সংশ্লিষ্ট প্যানেলটি গঠন করা হয়। এই প্যানেলে এন ভি রামান্না ছাড়া বাকি দুজন হলেন বিচারপতি এস এ বোবড়ে, যিনি অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে ঠিক রঞ্জন গগৈ-এর পরেই রয়েছেন এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি এস এ বোবড়ে স্বয়ং।

কীভাবে প্যানেলটি গঠন করা হয়েছিল, তাঁর ব্যাখাও দেন বিচারপতি বোবড়ে। তিনি বলেন, ‘আমি বিচারপতি রামান্নাকে নিয়েছিলাম, কারণ তিনি দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্যানেলে রাখা হয়েছিল, কারণ তিনি নারী।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তায়ই সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক কর্মচারী একটি এফিডেবিটের মাধ্যমে তাঁর অভিযোগটি সমস্ত বিচারপতির কাছে পাঠান।

সূত্র: এনডিটিভি