গাজায় ক্ষুধায় একদিনে ১৮ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৫৮,৮৯৫

SHARE

ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রান সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না। এ কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ক্ষুধা, পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিজনিত কারণে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মৃতদের মধ্যে একটি চার বছর বয়সী শিশু কন্যা রয়েছে, যার নাম রাজান আবু জাহের। সে চরম অপুষ্টি ও ক্ষুধার কারণে রবিবার প্রাণ হারায় বলে নিশ্চিত করেছেন দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

এছাড়া রবিবার গাজাজুড়ে অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী, যাদের অনেকেই খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনুস শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় শরণার্থীদের তাঁবু লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়, এতে এক শিশুসহ সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

মিডল ইস্ট আই-এর খবরে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৮৯৫ জনে, আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৮০ জন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে ইউএনআরডব্লিউএ-এর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ওপর প্রায় ৭৪,০০০টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালায়, যার মধ্যে ৫,৫০০টি শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে বলে শনাক্ত হয় এবং ৮০০টি শিশু সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক অফিস জানিয়েছে, গাজার পরিবারগুলো ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা মোকাবিলা করছে, যেখানে শিশুরা ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে এবং কেউ কেউ সাহায্য পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুবরণ করছে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ৬৫০ দিন ধরে গাজা একটি “ভয়াবহ দৃশ্যের সরাসরি সম্প্রচারে” পরিণত হয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

রবিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন করে দেইর আল-বালাহর বেশ কয়েকটি এলাকায় বাসিন্দাদের উৎখাতের নির্দেশনা জারি করেছে।

একই দিনে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদ এবং মরক্কোর সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা।