ঘূর্ণিঝড় মোরায় আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দুজন গাছচাপায় এবং একজন আতঙ্কে মারা গেছেন।
গাছ চাপা পড়ে নিহত দুজন হলেন জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার পূর্ব ডোমখালীর রহমত উল্লাহ (৫০) এবং একই উপজেলার পূর্ব বড়হেউলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার সায়েরা খাতুন (৬০)। আর কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়াচটা আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কে মারা গেছেন মরিয়ম বেগম (৫৫)।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আবদুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
ঘূর্ণিঝড় মোরা আজ সকাল ছয়টার দিক থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এটি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। দুপুর ১২টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা বৃষ্টি ঝরিয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে।
শামছুদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, সীতাকুণ্ডসহ বড় এলাকাজুড়ে ছিল এই ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে এসব এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশেই অবস্থান করছে। এটি বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড়, তাই আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে এটি দুর্বল হবে। ঘূর্ণিঝড়-পূর্ববর্তী আবহাওয়ায় ফিরে যেতে আরও ১০-১২ ঘণ্টা লাগবে বলে এই সময় উল্লেখ করেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ (১৬ নম্বর) বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সকাল ছয়টার দিকে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের নিজস্ব প্রতিবেদক)