মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত

SHARE

টাকা না পাওয়ায় এক ব্যক্তিকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আদালতে দায়ের হওয়া এক মামলার প্রেক্ষিত্রে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোহসিন ও কনস্টেবল মো. আজাদ।
তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (পোর্ট জোন) কর্মরত ছিলেন।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (বন্দর) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘অভিযোগ ওঠার পর ও আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পর দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুই পুলিশ সদস্য, তাদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর ডাবলমুরিং থানা এলাকার বাসিন্দা সাবিনা আক্তার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতে একটি মামলা করেন। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন দুই পুলিশ সদস্য টাকা না পেয়ে তার ভাইকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ২২ জুলাই তার ভাইকে কদমতলী মোড় থেকে আটক করে মনসুরাবাদ গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে নিয়ে যান। জাকিরের পরিবারের সদস্যরা ডিবি অফিসে গেলে ওই দুই পুলিশ সদস্য জানান, জাকিরের কাছ থেকে ৩ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে।
তারা বলেন, ১ লাখ টাকা দিলে মামলায় মাত্র ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার দেখানো হবে, আর ২ লাখ টাকা দিলে মামলা ছাড়া তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে জাকিরের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মামলা দেওয়া হয়। আদালত এই মামলার তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশি রেকর্ড অনুযায়ী, জাকির হোসেন ২০১৯ সালে সদরঘাট থানায় দায়ের হওয়া আরেকটি মাদক মামলার আসামি ছিলেন।