জাতীয় স্বার্থে খাইবার পাখতুনখোয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম চলবে

SHARE

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও কেপি সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (ন্যাপ) অনুযায়ী খাইবার পাখতুনখোয়ায় (কেপি) সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।

অভ্যন্তরীণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে সাবেক স্পিকার ও পিটিআই নেতা আসাদ কায়সারের এক বক্তব্যের জবাবে বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নেওয়া এমন পদক্ষেপ বন্ধ করার অধিকার কারো নেই।

তিনি উল্লেখ করেন, প্রাদেশিক সরকারেরও সন্ত্রাস মোকাবিলার দায়িত্ব রয়েছে এবং কেপি প্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থার জন্য জাতীয় অর্থ কমিশন (এনএফসি) অ্যাওয়ার্ড থেকে ৭০০ বিলিয়ন রুপি পেয়েছে।

কেপি ও বেলুচিস্তান সবচেয়ে ভয়াবহ ধরনের সন্ত্রাসের শিকার—যা নাগরিকদের জীবন, সম্পদ ও রাষ্ট্রের প্রতীকী স্থাপনাগুলোর জন্য বড় হুমকি—তাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
জীবন ও সম্পদের সুরক্ষা মূলত প্রাদেশিক সরকারের দায়িত্ব হলেও সক্ষমতার ঘাটতি বা রাজনৈতিক কারণে অনাগ্রহ দেখা দিলে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করে।

যখন প্রতিমন্ত্রী সংসদে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখনই দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের এক জনবহুল বাজারে পুলিশের টহল গাড়িতে দূরনিয়ন্ত্রিত বোমা হামলায় অন্তত চারজন বেসামরিক নিহত ও ১৪ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যও ছিলেন। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—কেপি ও বেলুচিস্তানে প্রায় প্রতিদিনই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষ হামলার শিকার হচ্ছেন। তবু দুঃখজনকভাবে কিছু মহল এ গুরুতর ইস্যুতেও রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

প্রতিমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) জঙ্গিরা একসময় সেনাবাহিনীর অভিযানে আফগানিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু পরবর্তী সময়ে পিটিআই সরকার তাদের ফিরিয়ে এনে প্রদেশে বসবাসের সুযোগ দেয়। এখন সেই জঙ্গিরাই সীমান্তের ওপারের প্রভুদের সহযোগিতায় রাষ্ট্রের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ৭০০ বিলিয়ন রুপি পাওয়ার পরও কেন প্রদেশে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।

সন্ত্রাসে জড়িত বা উন্নয়নের পথে বাধা দেওয়া ব্যক্তিদের জন্য কোনো স্থানীয় বা রাজনৈতিক সমর্থন থাকা উচিত নয়।
সেনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, বরং প্রদেশ ও দেশের স্বার্থে আত্মত্যাগ করছে—তাদের হাত শক্তিশালী করাই সবার দায়িত্ব।

সূত্র : পাকিস্তান অবজারভার