লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী, আজ ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম গার্ল সামিটে যোগদানের লক্ষ্যে তিনদিনের সরকারি সফরে সোমবার বিকেলে লন্ডন পৌঁছেছেন। তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক-এর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বৃটেন সফরে গেছেন।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে অনুষ্ঠেয় এ সামিটে প্রধানমন্ত্রী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ২০ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।image_91540_0

বৃটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস, ঢাকায় বৃটেনের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এবং বিএফআইডি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পরিচালক অ্যান্থনি স্মিথ বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে লন্ডনের হিলটন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সেখানেই অবস্থান করবেন। এর আগে শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

এদিকে, পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের বরফ গলবে কিনা তা দেখার জন্য আজ সবার নজর থাকবে লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মধ্যে আজ আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৃটেন সময় সকাল আটটা ৪৫ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া আধা ঘণ্টার স্থায়ী এ বৈঠকই শেখ হাসিনার এবারের লন্ডন সফরের সবচেয়ে আগ্রহের বিষয়।

কূটনৈতিক সূত্রগুলোর ধারণা, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হবে। বাংলাদেশে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তীব্র হতাশা ব্যক্ত করেছিল বৃটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের ওই অবস্থান এখনো বহাল আছে।

বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন কিছুদিন আগে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে সংসদের বাইরের বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।