ফরমালিন আতঙ্কে লোকসানের মুখে রাজশাহীর আমের বাজার

SHARE

ফরমালিন আতঙ্কের কারণে রাজশাহীতে পড়ে গেছে আমের দাম। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীরাও হয়রানির কারণে আর আম কিনছেন না। এতে লোকসানের শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। খবর সময় টেলিভিশনের।image_88944_0

আমের জনপদ হিসেবে খ্যাত রাজশাহীতে এখন ল্যাংড়া, ফজলি, আম রুপালি, লখনাসহ হরেক রকম আমের ছড়াছড়ি। গেল বছর এ সময় দম ফেলার সময় পাননি আম ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ বছর দেখা গেল উল্টো চিত্র। সম্প্রতি ফলে ফরমালিনের ব্যবহার বন্ধে কঠোন অবস্থান নেয় প্রশাসন।

এরপর থেকে প্রায় দিনই হাটবাজারে পরিচালিত হচ্ছে মোবাইল কোর্ট। ফরমালিন আতংকের কারণে আমের বেচাকেনা যেমন কমেছে তেমনি কমেছে এর দামও এমনটাই দাবি ব্যবসায়ীদরে।

একজন আম ব্যবসায়ী বলেন, “কী সব ফরমালিন আসলো। ব্যাপারীরা এখন আর আমই কিনে না।’ আরেকজন বলেন, ‘“এ আতঙ্কের কারণে আমের দাম ও চাহিদা অনেক কমে গেছে।” আরো একজন বলেন, “লাভ করা তো দূরের কথা আমাদের আসলই উঠে আসছে না।”

শুধু তাই নয়, বাইরের অনেক ব্যবসায়ীও হয়রানির কারণে আম কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে লাভ তো দূরের কথা, লোকসানের চিন্তায় দিন পার করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, সাধারণত এসময় এখানকার সবচেয়ে বড় হাট বানেশ্বরে প্রতিদিন এক থেকে দেড় কোটি টাকার আম বেচা কেনা হলেও বর্তমানে সটো অর্ধেকেরও অনেক নিচে নেমে এসেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বানেশ্বর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল বারী মুক্তা বলেন, “আমরা আম নিয়ে বাজারে গেলেই আমাদের আম নষ্ট করা হবে। যারা গাছে কোনো দিনই ফরমালিন দেয় না। কিন্তু বাজারে এলে সেটা ফরমালিন হয়ে যায়! এসব কারণে আগে যেখানে এক থেকে দেড়শ কোটি টাকার কেনা বেচা হতো এখন সেটা বিশ-ত্রিশ লাখে নেমে এসেছে।”

প্রতিমণ ফজলি হাটে এক হাজার চারশো টাকা, ল্যাংরা দুই হাজার ৮০০, লখনা এক হাজার ৪০০ ও আম রুপালি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা।