জঙ্গি হামলায় ৩৮ জন নিহত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় গতকাল শনিবার তিউনিসিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী অধিক ক্ষমতা পেল। এর পাশাপাশি জনসমাবেশ করার অধিকার সংকুচিত হয়ে পড়ল।
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কায়েদ এসেবসির কার্যালয় গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এ বিষয়ে পরে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। আগামী ৩০ দিন জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে। পরে প্রয়োজন হলে ৩০ দিন পরপর তা হালনাগাদ করা হবে।
গত ২৬ জুন তিউনিসিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সুসের সমুদ্রসৈকতে এক বন্দুকধারীর হামলায় বিদেশি পর্যটকসহ ৩৮ জন নিহত হয়। ওই হামলার পর নিরাপত্তাব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়। দেশের বিভিন্ন হোটেল এবং সৈকতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
সুসের হামলায় ত্বরিত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই হামলার সময় বন্দুকধারী সৈকতে গুলি চালিয়ে হোটেলে প্রবেশ করে। মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) পরে ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে।
তিউনিসিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ছিল সুসের হামলা। নিহত ৩৮ জনের মধ্যে ৩০ জনই ব্রিটিশ নাগরিক। তিউনিসীয় যুবক সাইফুদ্দিন রেজগুই ওই হামলা চালায়। গত মার্চ মাসে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের বিখ্যাত বারদো জাদুঘরে হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে দুই বন্দুকধারী।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পার্শ্ববর্তী দেশ লিবিয়ার সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে তিউনিসিয়া। ইরাক ও সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠন থেকে ফেরত বেশ কিছু তিউনিসীয় নাগরিকও দেশটির নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। ওই সময় গণ-আন্দোলনে প্রেসিডেন্ট বেন আলী ক্ষমতাচ্যুত হন।