আইসিসির স্বীকারোক্তিতে চাপ বাড়ল রায়নাদের

SHARE

grishগ্রিসের ঋণ সহায়তা প্যাকেজের সময় শেষ হতে চলেছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে। রোববার জানা গেছে গ্রিসের বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধের জন্য সেদেশের ব্যাংকগুলোকে জরুরী অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে গ্রিসকে আইএমএফের ১৭০ কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে।

মনে করা হচ্ছে গ্রিস এই অর্থ দিতে না পারলে ঋণখেলাপি হয়ে যাবে, এবং তাদের ইউরোজোন থেকেও বেরিয়ে যেতে হতে পারে।

ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা বলছেন, গ্রিসের উচিত হবে সোমবার দিনটিকে ব্যাংক হলিডে বা ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা – যাতে অর্থখাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।

সংকটের আশংকা ঘনীভূত হতে থাকায় গ্রিসের লোকজন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে ক্যাশ মেশিনগুলোর সামনে ভিড় জমাচ্ছে।

এথেন্সে বাংলাদেশী অভিবাসী এসোসিয়েশনের প্রধান জয়নাল আবেদিন বলছিলেন, “একটা গুজব চলছে এক সপ্তাহ ব্যাংক বন্ধ থাকবে আর এ কারণে মানুষজন খুব ভয় পাচ্ছে নিজেদের টাকা ব্যাংকে থাকবে কিনা । টাকার জন্য সবাই আতঙ্কে আছে।”

“আর একটা বিষয়ে ভয় যে ইউরোপ থেকে গ্রিস বের হয়ে গেলে এখনকার মতো ইউরোপের দেশগুলোতে সহজভাবে চলাচল করতে পারবোনা। আমাদের ইউরো যেটা আছে সেটার পূর্বের কারেন্সি এসে যাবে। এসব মিলায়ে আমরা সবাই আতঙ্কে আছি”-বলছিলেন মি. জয়নাল।

এই অবস্থায় মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তোলার পাশাপাশি খাবারও মজুদ করছে বলে জানালেন জয়নাল আবেদিন।

মি. আবেদিন জানান যে তিনি চারটা সুপারমার্কেট ঘুরে দেখেছেন, প্রচুর লোক লাইন দিয়ে বাজার করছে, ঘরের টিস্যুপেপার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি কিনতে সুপারমার্কেটে মানুষের ভিড় জমেছে। – বিবিসি