গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা স্থগিতের আদেশের কপি ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে এ কপি হস্তান্তর করেন।
এর আগে গত ১৮ জুন নির্ধারিত সময়ে জরিমানা না দেওয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২।
তবে জরিমানা জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই গত ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশের কার্যকারিতা ৫ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
একইসঙ্গে জাফরুল্লাহর আবেদনটি আগামী ৫ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়।
আপিল বিভাগের জরিমানা স্থগিতের আদেশটি ট্রাইব্যুনাল না জানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল বলেও ওইদিন জানিয়েছিলেন ডেপুটি রেজিস্টার আফতাবুজ্জামান।
গত ১০ জুন আদালত অবমাননার দায়ে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যর বেঞ্চ ডা. জাফরুল্লাহকে এক ঘণ্টার কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমান করেন। ৭ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা জমা দিতে আদেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে পর প্রথমে তিনি কাঠগড়ায় উঠে সাজা ভোগ করতে অস্বীকৃতি জানান ও আদালতকে সাজা স্থগিত করতে বলেন। অবশেষে তার সঙ্গী সাথীদের অনুরোধ ও জোরাজুরিতে দুপুর বারোটা ৪৯ মিনিট থেকে একটা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দণ্ড ভোগ করেন জাফরুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ নাগরিক ও সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে ট্রাইব্যুনালের জরিমানার রায়ের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় আদালত অবমানার দায়ে ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরীকে এ সাজা দেওয়া হয়।