পদত্যাগ করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন

SHARE

sujon kবাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে আর দায়িত্ব পালন করবেন না খালেদ মাহমুদ সুজন। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে অপারগতার কথা বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে পাঠানো ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেন। বিসিবির কয়েকজন পরিচালকও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৌখিকভাবে বিসিবি পরিচালক এবং বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়কেও ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

তবে, এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি নাঈমুর রহমান। খালেদ মাহমুদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই এ ব্যাপারে মন্তব্য করবেন বলে জানান তিনি।

রোববারই স্থানীয় একটি পত্রিকায় ম্যানেজারের পদে খালেদ মাহমুদের থাকার বৈধতা নিয়ে একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। যেখানে বলা হয়, অন্যদের তুলনায় মাহমুদকে ম্যানেজার করাটা বিসিবির জন্য একটু বেশিই ব্যয়বহুল।

বিসিবির একটি সূত্রের তথ্য, গত বছর ভারতের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজ, এ বছরের বিশ্বকাপ এবং সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজের বেতন হিসেবে বিসিবি থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো নিয়েছেন মাহমুদ।

এর মধ্যে শুধু বিশ্বকাপের ম্যানেজার হিসেবেই নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। এটা দৈনিক ভাতার বাইরে। বিশ্বকাপে দলের আর সবার মতো তিনিও দৈনিক ভাতা পেয়েছেন প্রায় ১৭৫ ডলার করে। হোম সিরিজে অঙ্কটা ৫০ ডলার।

অতীতে যতবারই জাতীয় দলের জন্য বেতনভুক্ত ম্যানেজার নেওয়া হয়েছে, মাসিক বেতন কখনোই এক লাখ টাকার বেশি হয়নি। কিন্তু মাহমুদের ক্ষেত্রে মাসিক বেতনের অঙ্কটা দাঁড়াচ্ছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। কোনো সিরিজের সময় এক মাসের কম বা বেশি হলে বেতনের টাকাও সেভাবে বাড়ে-কমে।

ওই প্রতিবেদটিতে আরও বলা হয়, বিসিবির পরিচালক বা নির্বাচকেরা এর আগেও অনেকবার জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু বেতন তো দূরের কথা, দৈনিক ভাতা ছাড়া কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধাই তাঁদের দেওয়া হয়নি।

খালেদ মাহমুদকে ম্যানেজার করা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল। বিশ্বকাপে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আল আমিন হোসেনকে বহিস্কার করার বিষয়েও অভিযোগ উঠেছিল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। তার দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

ম্যানেজারের অগোচরে কিভাবে একজন ক্রিকেটার হোটেলের বাইরে সময় কাটায় কিংবা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তা নিয়ে তখন তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই সময়ই খালেদ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করেন ক্রিকেট ভক্তরা।

একই সঙ্গে বিশ্বকাপে ক্যাসিনোতে জুয়া খেলার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মাহমুদ অবশ্য ক্যাসিনোতে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও জুয়া খেলেননি বলে দাবি করেন। তারপরও পাকিস্তান সিরিজে তাঁকে ম্যানেজার করা হয়। ম্যানেজার হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় ভারতের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজেও।

খালেদ মাহমুদ সুজনের পদত্যাগ পত্র বিসিবি গ্রহণ করেছে কি না, তাঁর বদলে নতুন ম্যানেজার কে হবেন—এটি এখনও জানা যায়নি। তবে এটা জানা গেছে, নতুন ম্যানেজার নিয়োগে আলোচনায় বসেছে বিসিবি।