অচেনা লোকজন তাকে রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
মেঘালয় পুলিশ সোমবার সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর স্থানীয় একটি মানসিক হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা মানসিক কোনো সমস্যা না থাকার কথা জানালে তাকে অন্য একটি সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়।
হাসপাতাল স্থানান্তরের সময় সালাহ উদ্দিন নিজেই বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন। অচেনা লোকজন আমাকে রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে তুলে নিয়েছিল। আমি জানি না আমি কিভাবে এখানে এলাম।’
‘অপহরণের’ পর আর কি হয়েছিল কিছুই মনে করতে পারছেন না বলে জানান ৫৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিক।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ রাতে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উত্তরার একটি বাসা থেকে কিছু লোক তুলে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ দুইমাস ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়।
মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয়ের পাসতোর হিলসে মেঘালয় ইস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সাইন্স (মিমহাস) হসপিটালের কর্তৃপক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রীকে ফোন দেন। এ সময় সালাহ উদ্দিন তার স্ত্রীকে পাসপোর্টসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশে আনার কথা বলেন।