পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য মারা গেছেন। কলকাতার ঢাকুরিয়ায় নিজের বাড়িতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
বিবিসির কলকাতা সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানান, ওষুধ খেতে গিয়ে গলায় পানি আটকে সুচিত্রা ভট্টাচার্য মারা যান বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে।
সুচিত্রা ভট্টাচার্য ১৯৫০ সালে ভাগলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারী সুচিত্রা কম বয়স থেকেই লেখালেখি শুরু করেছিলেন। বিয়ের পর কিছুদিন বিরতির পর আবার লেখালেখি শুরু করেন। তবে তার বিপুল জনপ্রিয়তার শুরু নব্বইয়ের দশকে।
কাচের দেওয়াল’, ‘কাছের মান’, ‘দহ’, ‘হেমন্তের পাখি’, ‘নীল ঘূর্ণি’, ‘অলীক সুখ’-এর মতো উপন্যাস এবং বেশ কিছু ছোট গল্প তাকে বহুলপঠিত লেখকের আসনে বসায়।
২০০৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি লেখাতেই মনোনিবেশ করেন সুচিত্রা। শহুরে মধ্যবিত্ত জীবন ও তার টানাপড়েন এবং নারীরা ছিল তার লেখার প্রিয় বিষয়।
তার লেখা উপন্যাস অবলম্বনে কলকাতায় যেমন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, বাংলাদেশেও তৈরি হয়েছে নাটক।
তার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বজ্রাঘাতের মতো মনে হচ্ছে। এই তো সে দিন দেখা হল, ফোনে কথা হল। এভাবে যে চলে যাবেন ভাবতেই পারিনি।’ একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাণী বসু এবং তিলোত্তমা মজুমদার।