অস্ট্রেলিয়া নতুন কৌশলগত রিজার্ভ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ মজুদ করবে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। চীনের বাইরে দেশগুলো বিরল মৃত্তিকা ও লোভনীয় ধাতু সংগ্রহের জন্য লড়াই করছে। তাই ক্যানবেরা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
খনিজ পদার্থের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক পরিমাণে লিথিয়াম, নিকেল ও কোবাল্ট রয়েছে। এসব ধাতু স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যানবাহন পর্যন্ত সব কিছুতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এই আশীর্বাদের বেশির ভাগই চীনের প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলোর কাছে কাঁচা আকরিক হিসেবে বিক্রি করা হয়, যা প্রক্রিয়াজাতকৃত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের বিশ্বব্যাপী সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
অ্যালবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়া এসব পণ্য মজুদ করা শুরু করবে এবং অন্য প্রধান অংশীদারদের কাছে বিক্রি করার জন্য চুক্তি করবে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অনিশ্চিত সময়ে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের কৌশলগত মূল্য সর্বাধিক করে তোলা নিশ্চিত করার জন্য একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অস্ট্রেলিয়া যেগুলো সরবরাহ করতে পারে তা নিয়ে আমাদের আরো কিছু করতে হবে।’
রিজার্ভ চালু করার জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রাথমিকভাবে ১.২ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার (৭৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করবে।
অ্যালবানিজের সরকার ইতিপূর্বে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া তার গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় দর-কষাকষির একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া লিথিয়াম থাকার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ও নিওডিয়ামিয়ামের মতো স্বল্প পরিচিত বিরল মাটির ধাতুর একটি শীর্ষস্থানীয় উৎস। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও জাপানের মতো প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলো চীন ছাড়া অন্য উৎস থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো পেতে আগ্রহী। জাপানের নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মজুদ রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ধাতু শোধনাগার ও অন্যান্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে।
সূত্র : এএফপি