নতুন করে বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য লাগাতার ফোন আসছে হোয়াইট হাউসে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বজুড়ে নতুন শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে। ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন করে বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য লাগাতার ফোন আসছে হোয়াইট হাউসে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন জানিয়েছেন, ইইউ সমানুপাতিক হারে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শুল্ক কমানোর আর্জি জানাবেন বলে জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীন, ইইউ এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে ‘বিশাল আর্থিক ঘাটতি’ মেটানোর জন্য শুল্ক আরোপই একমাত্র পথ।
তিনি জানান, ‘ইতিমধ্যেই নতুন শুল্ক চালু হয়ে গেছে।
এটি একটি দেখবার মতো সুন্দর জিনিস।’ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ের তৈরি ঘাটতি খুব দ্রুত মিটে যাবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বুঝতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই নতুন শুল্ক খুব ভালো জিনিস।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আতঙ্ক
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই ধস নেমেছে ওয়ালস্ট্রিটসহ অন্যান্য শেয়ারবাজারে।
রবিবার নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ছিল নিম্নমুখী। স্বভাবতই, সোমবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট আরো রক্তক্ষরণ দেখবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
লেনদেন শুরু হওয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই ডাও জোন্স তিন দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক তিন দশমিক ৮৫ শতাংশ নিচে নামতে দেখা যায়।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর মাত্র দুই দিনে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ পড়েছে। মার্চ ২০২০-র পর এটাই সবচেয়ে বড় পতন।
এর ফলে এসঅ্যান্ডপি বাজার থেকে প্রায় পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান করল। অন্যদিকে, ডিসেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় যাওয়ার পর নাসডাক প্রায় ২০ শতাংশ পড়েছে। বৃহস্পতি এবং শুক্রবারে একই সঙ্গে ধস নামতে দেখা গেছে সারা পৃথিবীর শেয়ারবাজারে।