স্বর্ণের তথ্য না দিয়ে বরং কারাগারে যেতে চান গুপ্তধন সন্ধানী

SHARE

thomsonআমেরিকান একজন গুপ্তধন সন্ধানী কারাগারে যেতে চান, তবে তিনি একটি প্রাচীন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া স্বর্ণের তথ্য দেবেন না।

একটি ডুবে যাওয়া ঐতিহাসিক জাহাজ থেকে ১৯৮৮ সালে এ কয়েক মিলিয়ন ডলারের সোনা উদ্ধার করেন সমুদ্র প্রকৌশলী টমি থম্পসন।

এসএস সেন্ট্রাল আমেরিকান নামের ওই জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে ১৮৫৭ সালে ডুবে গিয়েছিল।

আমেরিকান ব্যাংকগুলোর জন্য সোনার বার আর কয়েন বহন করছিল জাহাজটি।

তবে সোনা উদ্ধারের পর মি. থম্পসনের বিরুদ্ধে উদ্ধারকৃত সোনার ভাগাভাগি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তার পৃষ্ঠপোষকরা।

জাহাজটি থেকে সোনা উদ্ধারের জন্য ১৬১ জন পৃষ্ঠপোষক মি. থম্পসনকে সাড়ে ১২ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেন।

পেট ভর্তি সোনা নিয়েএসএস সেন্ট্রাল আমেরিকা নামের জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে ১৯৫৭ সালে ডুবে যায়

কিন্তু পরিত্যক্ত জাহাজটি থেকে সোনা তোলা পরে আর তিনি তাদের ভাগ দেননি।

সোনাগুলো পরে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যে বিক্রি করে দেন।

এরপরই পৃষ্ঠপোষকরা তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। সেই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর টমি থম্পসনকে কিছুদিন আগে গ্রেফতার করা হয়।

সোনার ভাগ নিয়ে আদালতে মামলা শুরু হওয়ার পর, ২০১২ সাল থেকে তাকে এবং তার সহযোগী আলিসন আন্তেখেইরকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পুলিশ বলছে, সোনার ভাগাভাগি নিয়ে মামলা শুরু হওয়ার পর মি. থম্পসন এবং মি. আন্তেখেইর ফ্লোরিডার একটি হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন।

গ্রেফতার এড়াতে তারা ট্যাক্সি এবং সাধারণ যানবাহনে চলাচল করতেন। গ্রেফতারের সময় তার সঙ্গে চার লাখ ডলার পাওয়া গেছে। এখন তিনি এই অর্থ আদালতে জমা দিয়ে আইনজীবীদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছেন।

সেক্ষেত্রে তাকে দুই বছর কারাগারে থাকতে হবে, তবে তার বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ তোলা হবে না।– বিবিসি