বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রস্তাবে কোনো আপত্তি জানায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তানের সফর নিয়ে এখন আর কোনো অনিশ্চিতয়তা নেই বলে মনে করছেন বিসিবির কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, আগামী ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান দল।
সফরে তিনটি টেস্ট, দুটি ওয়ানডে একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান।
এর আগে পিসিবি জানায়, বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য ক্রিকেট দলকে অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
বাংলাদেশ সফরে বিসিবির আয়ের ৫০ শতাংশ দাবি করেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় শর্ত হিসেবে বাংলাদেশকে তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাকিস্তানে পাঠাতে বলে তারা। কিন্তু বাংলাদেশ সফরে আসতে পাকিস্তানের শর্ত দুটি বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ মানবে না বলে জানিয়ে দেন সভাপতি নাজমুল হাসান।
এর প্রতিক্রিয়ায় পিসিবি জানিয়েছিল, ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফর করে পাকিস্তান দল; এবার বাংলাদেশের ফিরতি সফরে যাওয়ার কথা। ২০১২ সালে একটি লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা; কিন্তু তা রাখেনি বিসিবি। ফলে এই সফরটা এক হিসেবে পাকিস্তানের ‘হোম সিরিজ’। পাকিস্তানের এই হোম সিরিজের দাবিও মানতে অস্বীকৃতি জানায় বিসিবি।
২০০৯ সালের মার্চে সফররত শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো আর সফর করছে না।
২০১২ সালের এপ্রিল ও ডিসেম্বরে বিসিবি সফর বাতিল করায় ২০১৩ সালের বিপিএলে পাকিস্তানের সব খেলোয়াড়কে প্রত্যাহার করে পিসিবি। পরে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও ক্রিকেটারদের পাঠায়নি তারা।
তবে অবস্থান পাল্টে এবার বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান দল। সফরের আগে নিরাপাত্তা পরিস্থিতি দেখতে গত সোমবার বাংলাদেশে আসেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আজম খান।