অদ্ভুতদর্শন এক ভেড়া

SHARE

vera‘ছাগলের পেটে ছিল না জানি কি ফন্দি, চাপিল বিছার ঘাড়ে, ধড়ে মুড়ো সন্ধি !’ সুকুমার রায়ের খিচুড়ির কথা মনে পড়ে যেতেই পারে। তবে, ছাগল নয় ভেড়া। অদ্ভুত-কিম্ভুত দর্শন!

হাঁসজারু, বকচ্ছপ, টিয়ামুখো গিরগিটি- ব্যাকরণ বহির্ভূত আজব দুনিয়ার অনেক কিছুর সঙ্গেই পরিচয় করিয়েছেন সুকুমার রায়।কিন্তু, বাস্তবিকই মানুষমুখো ভেড়া- নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, শোনেননি আগে কখনও। যেন কোনোভাবে হাসির রাজার খিচুড়ির দুনিয়া থেকে ছিটকে চলে এসেছেন এই গ্রহে।

হ্যাঁ, এমনই অদ্ভুতদর্শন এক ভেড়ার জন্ম হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার বাসিন্দা Blasius Lavrentiev-এর ঘরে। আর্থিক ভাবে খুব একটা সচ্ছল নন ব্লাসিয়াস। জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে তাকে ভেড়া পুষতে হয়। তাই প্রিয় পোষ্যের সন্তানসম্ভবার ইঙ্গিত পেয়ে খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন ব্লাসিয়াস। ভেবেছিলেন, ভেড়ার ছানা বেচে অবস্থার সাময়িক সামাল দেবেন। কিন্তু, বিধি বাম! সময়মতো পোষ্য সন্তান প্রসব করলেও, খুশি হতে পারেননি ব্লাসিয়াস।

ছানা তো হয়েছে। সাদা ফুটফুটে। কিন্তু সে যে মানুষমুখো! দেখে চোখ কপালে ওঠার উপক্রম। ব্লাসিয়াসের কথায়, গত শীতটা খুব খারাপ কাটিয়েছি আমরা। আর্থিক টানাটানির মধ্য দিয়ে চলছিল।তাই সন্তানসম্ভবা পোষ্যেক দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু, কী জানি কী হলো! মানুষমুখো ভেড়ার কথা তো জম্মেও শুনিনি।বৃদ্ধ বয়সের মানুষের মুখের সঙ্গে অনেক মিল আছে। এখন এই ভেড়াছানাকে নিয়ে কী করবেন, জানেন না ব্লাসিয়াস। হতাশ হলেও আগলে রেখেছেন মাত্রই কয়েক দিনের এই পোষ্যছানাকে। যত যা-ই হোক, ফেলে তো আর দিতে পারেন না। তাই সুকুমারের আজব দুনিয়ার ধড়ে মুড়ো সন্ধিতেই সই।