অনুষ্কা নয়, হ্যাপিকে বিয়ে করছেন কোহলি

SHARE

happy-virat-655x360ভারতের ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি আর বলিউডের নামকরা অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার প্রেমকাহিনী এখন রোজনামচা৷নিন্দুকরা বলছেন, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অনুষ্কা মাঠে থাকার জন্যই নাকি ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে পারেননি কোহলি৷ আর তাতেই টিম ইন্ডিয়ার ভরাডুবি! এই ঘটনার পর থেকে ম্যাচে অনুষ্কার গ্যালারিতে থাকা  নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ বিরাট ব্যর্থতার জন্য অনুষ্কাকেই দায়ী করছেন অনেকে৷অনেকে আবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ অস্ট্রেলিয়া থেকে একই সঙ্গে, একই বিমানে দেশে ফিরেছেন বিরাট-অনুষ্কা৷ শোনা যাচ্ছিল, বিশ্বকাপের ব্যর্থতার হাতাশা-শোক দূরে সরিয়ে এবার নাকি বিয়েটা সেরে ফেলবেন তাঁরা৷

এত পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক চলছিল৷কিন্তু কোহলির একটা টুইটের পর থেকেই হঠাৎ সব কেমন ওলট-পালট হয়ে গেল! কিছুক্ষণ আগে বিরাট কোহলি নিজে টু্ইট করে জানিয়েছেন, অনুষ্কার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অস্ট্রেলিয়াতেই বিচ্ছেদ হয়েছে! একবারে পাকাপাকি বিচ্ছেদ! তাহলে বগলদাবায় জড়িয়ে একসঙ্গে দেশে ফেরার রসায়নটা কি? সবাই দেখছে সেই দৃশ্য৷সমস্ত মিডিয়া ছবি দিয়ে খবর করেছে৷ কোহলি অবশ্য সেই ব্যখ্যাটিও দিয়েছেন টুইটে৷ তিনি লিখছেন, ভারতের মিডিয়া যদি এই খবর বাড়ি ফেরার আগে জানতে পরাতো, তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচমাস কাটানোর পর ঘরে ফেরাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াতো তাঁর কিংবা অনুষ্কার পক্ষে৷ তাই সংবাদমাধ্যমকে বোকা বানানোর জন্যই প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে ‘গট আপ’ করে দেশের মাটিতে পা রাখেন তাঁরা! অনুষ্কাও ঘনিষ্ঠ মহলে সম্পর্ক বিচ্ছেদের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷

বিরাট কিংবা অনুষ্কা, দু’জনেই বড়মাপের সেলিব্রিটি৷ নিজনিজ ক্ষেত্রে দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত৷ এই ধরণের সেলিব্রিটিদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের উদাহরণ গোটা বিশ্বজুড়ে ভুরি ভুরি রয়েছে৷ফলে এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়৷

তবে অবাক করার বিষয়টা অন্য জায়গায়৷ এরপর কোহলি টুইটে যেটা লিখছেন সেটা সত্যিই বিষ্ময়কর৷ কোহলি লিখছেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগেই আমার সঙ্গে অনুষ্কার সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়৷ সেটা বড় আকার ধারণ করে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর পর৷ কিভাবে ঘটনাটা ঘটে গেল আমিও নিজেও জানি না৷ ওদের রুবলে হোসেন ম্যাচের পর আমাদের ড্রেসিং রুমে এসে সেমিফাইনালের জন্য আমাকে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে যায়৷ আমাদের হোটেলেই ওরা ছিল৷ হোটেলে ফিরে লাউঞ্চে বসে আমরা দু-জন অনেক্ষণ কথা বলি৷ ও অনুষ্কা নিয়ে জানতে চায়৷ আর আমি হ্যাপিকে নিয়ে৷ একটা সময় আমরা দু-জনেই খুব আবেগ-প্রবণ হয়ে পড়ি৷ ওর সমস্যা মেটাতে আমি হ্যাপির ফোন নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ ওইদিন সারারাত আমার আর হ্যাপির মধ্য অনেক কথা হয়৷ কেন জানি না, রুবেলের সমস্যা মেটাতে গিয়ে হ্যাপিকেই আমার ভাল লেগে যায়৷ হ্যাপির তরফ থেকেই অবশ্য প্রস্তাবটা প্রথমে এসেছিল৷ হ্যাপি নাকি অনেক আগে থেকেই আমার খুব বড় ভক্ত৷

পরেরদিন সকালে প্র্যাকটিস সেরে আমি অনুষ্কাকে ফোন করে সব কথা জানাই৷ ওর খারাপ লাগছিল সেটা বুঝতে পারছিলাম৷ তবে হ্যাপির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে কোনও আপত্তি করেনি অনুষ্কা৷ শুধু বলেছিল, শেষবার সামনে থেকে তোমার খেলা দেখতে সিডনি আসছি আমি৷ পরে হ্যাপিকে আবার ফোন করি৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এপ্রিলেই হ্যাপিকে বিয়ে করছি আমি৷’

 

বোকা বনলেন না তো? আজকের দিনটা মনে আছে? যদি মনে না থাকে, তাহলে মনে করিয়ে দিই! আজতো পয়লা এপ্রিল! ‘ফুল’ মানে বোকা বানানোর দিন৷

(আপনাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য নেহাতই মজা করা হল৷ এই প্রতিবেদনের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই৷ কাউকে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না আমাদের৷ তবে এই মজার প্রতিবেদন পড়ে কেউ যদি দুঃখ  পেয়ে থাকেন, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী৷)