যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার শর্তাবলি প্রকাশযোগ্য নয় : অর্থ উপদেষ্টা

SHARE

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যখন উভয় পক্ষের নিবিড় (ওয়ান টু ওয়ান) দর-কষাকষি হয়, অনেক কথা বলা হয় না। এটা বহুপক্ষীয় দর-কষাকষি না যে সবাই জানবেন।

তিনি বলেছেন, চুক্তি এখনো সই হয়নি। একটা আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে।
কোন কোন জায়গায় আমাদের শুল্ক কমাতে হবে, কী কী আমদানি করতে হবে, তা দেখতে হবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যেটা হয়েছে, আমাদের পোশাক ও নিট পোশাক খাত তাড়াতাড়ি সমন্বয় করে ফেলতে পারবে। বস্ত্র খাতের বোনায় (উইভিং) একটু সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার দর-কষাকষিতে যাওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘হ্যাঁ। ইউএস চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি।
বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের মনোভাব খুবই ভালো। শেভরন ও মেটলাইফের অর্থ দিয়ে দেওয়ার কারণে বলেছে, তোমরা তো টাকা আটকে রাখো না।’

চুক্তি এখনো সই হয়নি জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে। কোন কোন জায়গায় আমাদের শুল্ক কমাতে হবে, কী কী আমদানি করতে হবে, তা দেখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন উভয় পক্ষের নিবিড় (ওয়ান টু ওয়ান) দর-কষাকষি হয়, অনেক কথা বলা হয় না।
এটা বহুপক্ষীয় দর-কষাকষি না। এটা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নয়, জাতিসংঘ নয়, যে সবাই জানবেন। তা ছাড়া ভিয়েতনাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আবার চীন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান সবাই আছে। কিছু জিনিস আছে বলা যায় না।’

এক বছরে খাদের কিনারা থেকে দেশের অর্থনীতি অনেকটাই ওপরে উঠে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এটা দেখার জন্য দৃষ্টি ও অন্তর্দৃষ্টি লাগে। ভাসা-ভাসা দেখলাম, ভাসা-ভাসা বলে দিলাম, তা না। অনেক কিছুই হয়েছে।’