ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার একটি ফলপ্রসূ ফোনালাপ হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধ শেষ করার উদ্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ড্রোন চুক্তির বিষয়।
মঙ্গলবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি লিখেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিয়েভসহ অন্যান্য শহরে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত।
সাম্প্রতিক সময়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প। তিনি আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে ইউক্রেনে শান্তি স্থাপনে পুতিনকে সময় দিয়েছেন। না হলে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
ওয়াশিংটনের একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ বুধবার মস্কোতে রুশ নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
নিজের রাতের ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্প ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে ১ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রন্ট লাইনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানেন।
তিনি জানান, ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করছে এবং বিভিন্ন কাঠামো প্রস্তাব করেছে যুদ্ধ থামানোর জন্য।
জেলেনস্কি বলেন, আমরা রাশিয়াকে আকাশে শান্তি, কোনো ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয় এবং বিশেষভাবে নাগরিক অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে হামলা না করার প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু রাশিয়া এগুলোর সবই লঙ্ঘন করেছে এবং সেটা অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে।
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাশিয়ার তেল কিনে এমন দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে ক্রেমলিন-ঘনিষ্ঠ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, পুতিন এই আল্টিমেটামের কাছে নতিস্বীকার করবেন না।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেনীয় ড্রোন ক্রয় সংক্রান্ত একটি শক্তিশালী চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে, যার মূল্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইউক্রেন বর্তমানে বিদেশি মিত্রদের কাছ থেকে অর্থায়ন ও বিনিয়োগ চাচ্ছে, যাতে তাদের দেশীয় অস্ত্র শিল্পকে আরও শক্তিশালী করা যায়।