যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সই রিপাবলিকান দলের ‘সম্ভাব্য’ প্রার্থী হবেন বলে মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প এতদিন তার উত্তরসূরি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন, ভ্যান্স ‘খুবই দক্ষ’ হলেও এমন সিদ্ধান্ত জানানোর সময় এখনও আসেনি। ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (মাগা) আন্দোলনের উত্তরাধিকারী ভ্যান্স কি না—মঙ্গলবার একজন সাংবাদিক তাকে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি মনে করি সবচেয়ে সম্ভাব্য এটাই।
যথার্থ ভাবে বললে, সে এখন ভাইস প্রেসিডেন্ট।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময় এল যখন তার তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে, যদিও*মার্কিন সংবিধানে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ দুইটিতে সীমাবদ্ধ।
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘যদিও এখনই এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলার সময় আসে নি—তবে সত্যি বলতে, সে দারুণ কাজ করছে। এ মুহূর্তে সে সবচেয়ে এগিয়ে।
’
ট্রাম্প আরো একটি সম্ভাবনার কথা বলেন, ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একসঙ্গে শক্তিশালী রিপাবলিকান গড়তে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় মার্কোও এমন একজন যে হয়তো কিছু যায়গায় জে ডির সমকক্ষ।’
মার্কিন সংবিধানে প্রেসিডেন্টদের দুই মেয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সত্ত্বেও, ট্রাম্প বেশ কয়েকবার আরেকটি মেয়াদে দায়িত্ব পালনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ‘ট্রাম্প ২০২৮’ ও ‘নিয়ম পুনর্লিখন করুন’ লেখা টি-শার্ট ট্রাম্পের অফিসিয়াল অনলাইন স্টোরে বিক্রিও হচ্ছে।
তবে মঙ্গলবার সিএনবিসির স্কোয়াক বক্স অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, তিনি সম্ভবত তৃতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচন করবেন না। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘আমি চাই। আবার লড়তে আমার ভালোই লাগবে। আমার সমর্থন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি।’
উল্লেখ্য ট্রাম্পই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাকে দুইবার অভিশংসনের মুখে পড়তে হয়েছে—প্রথমে ২০১৯ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেস বাধা দেওয়ার অভিযোগে ও দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে বিদ্রোহ উসকানোর জন্য।
তবে দুবারই সেনেট তাকে খালাস দেয়।
সাবেক মেরিন ও আইনজীবী ভ্যান্স বর্তমানে প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন—দেশীয় নীতির প্রধান মুখপাত্র ও কূটনৈতিক দূত হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা পারেন, তবে তা ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেই।
অন্যদিকে হেনরি কিসিঞ্জারের পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়ের দায়িত্ব পালনকারী প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন ফ্লোরিডার প্রাক্তন সিনেটর রুবিও।