টাইগারদের বিশ্বকাপ-মিশন শেষ। খেলোয়াড়-কোচিং স্টাফরা নিজের মতো করে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থেকে গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানেই ক্রিকেট নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে।
সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিল, এবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে কোন কোন দল? হাথুরুসিংহের ফাইনালিস্টের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। নেই গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
অন্য দল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার আগে হাথুরুসিংহেকে বলতে হলো নিজের দল নিয়েও। বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে বাংলাদেশের সত্যিকারের প্রত্যাশাটা আসলে কী ছিল? তিনি কি ভেবেছিলেন দল কোয়ার্টার ফাইনাল উঠতে পারবে? বললেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাই ছিল মূল লক্ষ্য। তারপর ম্যাচ ধরে এগোনো। সেভাবেই ভেবেছিলাম। এখন যদি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলেন, তাহলে বলব ২০১৬ সালের টি-২০। সেখানে আবার নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে চাই।’
পুরো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যে মাশরাফি বিন মর্তুজার অধিনায়কত্ব প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু পুরো সাফল্যযাত্রায় অধিনায়ক মাশরাফির ভূমিকা কতটুকু? হাথুরুসিংহে বললেন, ‘সে অসাধারণভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। সে একজন সত্যিকারের নেতা, আমি তো বলব নেতা হিসেবে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। সতীর্থদের কাছে সে অনেক বড় ভরসার নাম, তাদের কাছ থেকে খেলা আদায়ে যা খুব সহায়ক হয়েছে।’
রোববার দেশে ফিরে মাশরাফি জানিয়েছেন, আগামী বিশ্বকাপেও আরো ভালো করার চেষ্টা করবেন তারা। বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী কোচও। বাস্তবতার নিরিখেই বললেন, ‘১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। সবাই ভীষণ আবেগী। কিন্তু সমস্যা হলো ক্রিকেট কাঠামোটা এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো শক্তিশালী হলে প্রতিভাবান খেলোয়াড় আসবে আরও বেশি। তবেই আমরা ভারত-শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারব। তুলনা করলে আমাদের কাঠামোটা ভারত-শ্রীলঙ্কার মতো ঠিক গোছানো নয়। সেটা ঠিকঠাক গুছিয়ে আনতে পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল।’