আনন্দবাজারকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে ‘রোমিও বনাম জুলিয়েট’ খ্যাত এই অভিনেতা বলেন, নায়কদের তুলনায় নায়িকাদের পারিশ্রমিক কম। কিন্তু ‘বুদ্ধির জোরে’ তারাই আয় বেশি করেন। বিশেষ করে প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে গিয়ে বেশি কামাই করে নেন তারা।
“নায়িকারা নায়কদের থেকে কম পেলেও ফিতে কাটার অনুষ্ঠানে গিয়ে পুরোটা পুষিয়ে নেয়।”
বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আজ যদি ফিতে কাটার অনুষ্ঠানে আমি তিন লক্ষ নিই, তাহলে মাসে আমি ধরে নিচ্ছি তিনটা এরকম কাজ করবো। সেই তুলনায় এক নায়িকা হয়তো ৬০ হাজার পাবে একটা ফিতে কাটলে। কিন্তু মাসে হয়তো দশটা এমন অনুষ্ঠানে যাবে। তার মানে নায়িকাদের রোজগার বেশি হচ্ছে।”
“আমরা বোকামি করি। কিন্তু ওরা বুদ্ধি দিয়ে চলে। এই নিয়ে আমাদের ঠাট্টাও হয়। আমি হয়তো বললাম, একটা ফিতে কাটলে এতো নিই। হিরোইন বললো অত নিই। তারপর হিসেব হয় মাসে কটা অফার পাই। দেখা যায় হরেদরে একই হচ্ছে।”
টালিগঞ্জের সিনেমার বাজার নিয়েও কথা বলেন এই অভিনেতা।
“বড় বাজেটের ছবি চলছে না। অ্যাকশন চলছে না। তামিল-তেলেগু রিমেক চলছে না। কী ফর্মুলা ক্লিক করবে সেটাই হাতড়ে বেড়াচ্ছি।”
আনন্দবাজারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে টালিগঞ্জের ৯০ শতাংশ সিনেমাই ব্যবসায়িকভাবে মার খেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিনেমার বাজেট কমানো উচিৎ বলে মনে করেন অঙ্কুশ।
“প্রিন্ট পাবলিসিটি নিয়ে আগে আমার ছবির বাজেট থাকতো সাড়ে পাঁচ কোটি। ম্যাক্সিমাম ছ’কোটি। কিন্তু যেভাবে মার্কেট চলছে, তাতে বাজেট কমাতেই হবে। প্রিন্ট পাবলিসিটি দিয়ে ম্যাক্সিমাম চার কোটি টাকা খরচা করলে ঠিক আছে।”
সিনেমার বাজেট কমলে নায়কদেরও পারিশ্রমিক কম চাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন অঙ্কুশ।
“ফিল্ম যদি ব্যাবসা না করে, তাহলে আমাদের বেশি চার্য করে লাভ কী? বাংলা ছবির নায়কেরা তো আর মনে করেন না তাদের বাড়ির ছাদে হেলিপ্যাড হবে!”
“একটা প্রবাদ আছে, যখন সময় থাকে, তখন লুটে নাও। কিন্তু সময় যখন খারাপ, তখন কিছুটা কম্প্রোমাইজ করতেই হয়। ছবি প্রতি নায়কদের উচিৎ ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা নেওয়া। অভিনেতাদের দরকার প্রোডিউসার্স অ্যাক্টর হওয়া। অবস্থা ভাল হলে দুই কোটি চাইতে অসুবিধা কোথায়? আপাতত মিলেমিশে ভেবেচিন্তে পারিশ্রমিক চাইলেই ভাল।”