পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের গাড়িচালক টিপু সুলতানকে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই করার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোরশেদা আক্তার প্রিয়া (৩২) ও মেহেদী হাসান (৩৬)। শনিবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাঁজেরো গাড়িটি ছিনতাইয়ের আগে এর চালক টিপু সুলতাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছিল তারা। কেউ যেন সন্দেহ না করে সে জন্য তারা হত্যার পর রাস্তায় ফেলে টিপুকে গাড়িচাপা দেয়।
রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মুনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়িটি ছিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের। আর এর চালক ছিলেন টিপু সুলতান। গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় মিরপুরের ক্যান্টেনমেন্ট থানার শেওড়াপাড়া এলাকায় মেহেদী হাসানের ভাড়া বাসায় টিপু সুলতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে প্রিয়া ও মেহেদী।’
প্রিয়া এর আগে যুবদল নেতা সেন্টুকে একই কায়দায় হত্যা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনায় সে তিন মাস জেলে ছিল। সেখানেই মেহেদীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর তারা জেল থেকে বেরিয়ে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।’
হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মেহেদী হাসান কিছুদিন আগে টিপু সুলতানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে ও তাকে তার বাসায় নিয়ে যান। পরে প্রিয়া তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দেয়। এরপর তারা দ্রুত গিয়ে ওই গাড়িতে ওঠে। গাড়ি চালানোর একপর্যায়ে চালকের ঘুম ঘুম ভাব এলে তারা তা কাটানোর কথা বলে আবার তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। এরপর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে প্রিয়া ও মেহেদী।’
হত্যার পর লাশটি তুরাগ থানার দিয়া বাড়ী এলাকার রাস্তায় হাত-পা বেঁধে ফেলে দিয়ে গাড়িটি ওই লাশের মাথার উপর দিয়ে চালিয়ে দেয় বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ চালক টিপু সুলতানের লাশ অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ। পরে তা ঢাকা মেডিকেল মর্গে নিয়ে আসা হলে চালকের স্ত্রী ইতি পারভীন লাশটি তার স্বামীর বলে সনাক্ত করেন।