পেট্রলবোমায় মাগুরায় নয় ট্রাকশ্রমিক দগ্ধের ঘটনায় শনিবার রাতভর জেলা বিএনপির সাধারণসম্পাদক এবং সহ-সভাপতির বাড়ীসহ ১৫টি বাড়িতে পুলিশ তল্লাশির নামে ব্যাপক আসবাপত্র ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাগুরা জেলা বিএনপির সেক্রেটারি আলী আহমেদের স্ত্রী শামসুন নাহার অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার পাকাকাঞ্চনপুর গ্রামের বাড়িতে তার স্বামীকে খুঁজতে সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন পুলিশ তল্লাশির নামে আসবাপত্র ভাঙচুর করে কাঁথা-কাপড়ে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
অন্যদিকে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার আন্দোলবাড়ি গ্রামে পুলিশ আসবাপত্র ভাঙচুর এবং কাঁথা-কাপড়ে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সুমি আক্তার অভিযোগ করেছেন।
মাগুরা সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় দাবি করেন, পুলিশ কারো বাড়িতে ভাঙচুর করতে পারে না। তাদের অভিযোগ সত্য নয়। অনেককে আটক করা হয়েছে যা যাচাই বাছাইয়ের পর জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৮টার দিকে মাগুরার মঘীর ঢাল এলাকায় একটি খালি ট্রাকে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করলে মাগুরা সদর উপজেরার মালিকগ্রামের ৯ ট্রাক শ্রমিক দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাদের রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হলে রওশন আলী ওই রাতেই এবং আজ রোববার দুপুর ১২টায় শাকিল হোসেন মোল্ল্যা নামের দুই জন মারা গেছে।