সিটি নির্বাচন নিয়ে ভাবছে বিএনপি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিগগির

SHARE

city corporationঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্নে বিএনপি খুব শিগগির তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছেন দলের একজন নেতা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া যায় কি না সেটা নিয়ে তারা ভাবছেন। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শনিবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, এ নিয়ে তারা কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্নে দলের মধ্যে দুই রকমের মত রয়েছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি এর আগেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তারা কাজ করতে পারেননি। পাঁচ মেয়রের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে সরকার মামলা দিয়েছে। এদের দুজন কারাবন্দী হয়ে আছেন। একজন গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচিত হওয়ার পরও এরা কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন নিয়ে দলের মধ্যে কথাবার্তা যে হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ যেহেতু খুব কাছে, তাই বিএনপি শিগগিরই এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি স্বীকার করেন যে নির্বাচন প্রশ্নে দলের মধ্যে দেই ধরনের মতই আছে। তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কিছু লোকের আগ্রহ আছে। আবার কিছু লোকের আপত্তিও আছে। তারা বলছেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করে লাভ কী। যদি জিতি, তাহলেও তো কাজ করতে দিচ্ছে না।”

নজরুল ইসলাম  বলেন, “আমরা ভোটে গিয়ে ভোট পেলেই তো হবে না, এই ভোট রক্ষা করতে হবে। নির্বাচনের ভোট পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করতে পারে। সেজন্য আমাদের এসব ভাবতে হচ্ছে।”
বিএনপি নির্বাচনে গেলে চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি শিথিল করা হবে কি না জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য  বলেন, বিএনপি যেসব দাবিতে আন্দোলন করছে, সেই আন্দোলন চলবে। এখন আন্দোলনের ফর্ম বা স্টাইলে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না সেটা দেখা হবে। বিবিসি।