আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে সমীকরণটা সহজ হয়ে গেছে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের জন্য। ম্যাচ হারলে বাদ, জিতলে কোয়ার্টার ফাইনাল। কারণ জয়ের মাধ্যমে নিজেদের রান রেট অনেকটা নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে উইন্ডিজরা। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সবুজ সংকেত প্রায় পেয়েই গেছে ক্যারিবিয়ানরা। অপেক্ষা শুধু পাক-আইরিশ ম্যাচ শেষ হওয়ার।
বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপের এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোববার অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের সেঞ্চুরির পরও ২৩৭ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। অ্যাডিলেডে ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের টার্গেট এখন ২৩৮ রান।
চতুর্থ উইকেটে বালবার্নির সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন পোর্টারফিল্ড। তার ব্যাটিংকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে আইরিশরা। হারিস সোহাইল ব্রেক থ্রু এনে দেন পাকিস্তানকে। আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে বালবার্নি ১৮ রান করেন। পঞ্চম উইকেটেও ৪৮ রান যোগ করে আইরিশরা। কয়েকবার সুযোগ দিয়েছিলেন পোর্টারফিল্ড, সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। কখনো মিস হিটে কঠিন ক্যাচ, কখনো নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়েছে আইরিশ অধিনায়কের শট।
তবে তিনি ঠিকই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেও তিন অংকের ঘরে যেতে বল খরচ করেছেন তিনি ১২৪টি। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে পোর্টারফিল্ড ১৩১ বলে ১০৭ রানের (১১ চার, ১ ছয়) অসাধারন ইনিংস খেলেন।
শেষ দিকে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ব্যাট হাতে চড়াও হতে পারেননি আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। স্লগ ওভারের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংও তাই দেখা যায়নি। শেষ দশ ওভারে মাত্র ৪৯ রান দিয়েছে পাকিস্তান। উইলসন ২৯, থম্পসন ১২, মুনি ১৩, ডকরেল ১১ রান করেন। পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ ৩টি, রাহাত আলী ও সোহাইল খান ২টি করে উইকেট নেন।