চীন-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চালানো বোমা হামলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে চীনা সীমান্তে বোমা ফেলে চার বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগে কূটনৈতিক প্রতিবাদের পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধবিমানও পাঠিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনান প্রদেশের লিনকেংয়ের কাছে একটি আখ ক্ষেতে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। চীন সীমান্ত সংলগ্ন কোকাং অঞ্চলে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
চীনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ওই বোমা হামলায় চারজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই চীনে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিত লিন ওনকে তলব করেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি ঝেনমিন। এ ছাড়া সীমান্ত অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে বেইজিং। এদিকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে চীনা অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর বোমা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির উদ্দেশে বিদ্রোহীরা এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ)-এর সঙ্গে নতুন করে দেশটির সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রশাসন। চীনে পাঁচ বছর নির্বাসিত থাকার পর বিদ্রোহীদের নেতা ফোন কিয়া শিন মিয়ানমারে ফেরার পরই সংঘর্ষ শুরু হয়। চীনের সাবেক সেনারা বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে মিয়ানমার। তবে চীনের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের সহযোগিতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সংঘর্ষের কারণে কোকাং অঞ্চলের শান রাজ্য থেকে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের ৩০ হাজার নাগরিক চীনে পালিয়ে গেছে।