ভারতকে হারাতে পারবে না বাংলাদেশ: হ্যাডলি

SHARE

hadliনিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা ক্রিকেটার স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। যাকে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়, তিনি এবার জ্যোতিষীর ভূমিকায়। ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন— বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে।

শুক্রবার মার্টিন গাপ্টিলের সেঞ্চুরি হওয়ার আগেই তাকে নিশ্চিন্ত দেখাল যে প্রচুর লড়াইয়ের পর নিউজিল্যান্ডই জিতছে। হ্যামিল্টন মাঠের পশ্চিম কোণে একটা সোফায় আবিষ্কার করা গেল মিস্টার ক্রিকেটরক।

তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভাল লড়েছে আজ। গোটা টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড এতো নাস্তানাবুদ আর হয়নি। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে আমি ওদের বিশেষ আশা দেখছি না। ভারতের ব্যাটিং অনেক স্ট্রং।

বোলিংটাও খুব ভাল করছে পেসাররা। ওরা সহজে রান করতে দেবে না। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান ব্যাটিংটা এতো ভাল যে ওদের ভাঙা খুব সমস্যা। আমি ভারতকে মেলবোর্নে সত্তর ভাগ ফেভারিট ধরব।’

আমি বলবো— অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাটসম্যানরা যত সহজে রান করেছে, আমাদের দেশে তত কিন্তু করেনি। এখানকার পিচে বোলারদের জন্য কিছু ছিল। তাই অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় এখানে সেঞ্চুরির সংখ্যা কম। তবে এটা ঠিক যে দেশটিতে ব্যাটসম্যানদের আধিপত্যটা সীমাহীন পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

কীভাবে এটা সামলানো যায়, আমি নানান থিওরি শুনছি। হয় ব্যাটের প্রযুক্তি সম্পর্কিত কোনও আইন আনতে হবে। নয়তো আর একটা সমাধানের উপায় হল বলের সিম চওড়া করে দাও। তাহলে বোলাররা বাড়তি সুবিধে পেয়ে যাবে। একটা ভারসাম্য আসবে।

ভারতের তুলনায় পিছিয়ে রাখলেও এমনিতে বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখে আমি অভিভূত। ওরা প্রমাণ করেছে কোয়ার্টার ফাইনালে মোটেও ফ্লুকে ওঠেনি। এই মাহমুদুল্লাহ ছেলেটাকে দেখে আমি চমৎকৃত। কী ভাল ব্যাট করলো। চাপের মুখে খেলা তবু। দারুণ। রুবেল ছেলেটাও খুব ভালো বল করে। সাকিব নিয়ে তো কিছু বলারই নেই। অলরাউন্ডার হিসেবে সে রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি সমসাময়িক প্লেয়াররা ওকে দিতো তাহলে ও আরও উন্নতি করত। বাংলাদেশ যে আমাদের দেশে এসে এ রকম লড়াই করতে পারবে, ভাবতেই পারিনি। দারুণ উন্নতি করেছে ওদের ক্রিকেট।

বিশ্বকাপে নিজের হাতে বল থাকলে টুর্নামেন্টের সেরা তিন ব্যাটসম্যান হিসেবে কাদের বেছে নিতে? হ্যাডলির নির্বাচন— সাঙ্গাকারা, ডি’ভিলিয়ার্স আর কোহলি।