সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেছেন, এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা দেশের মানুষ অতীতে মেনে নেয়নি, বর্তমানে মানে না, ভবিষ্যতেও মানবে না, রক্তের বিনিময়ে হলেও বাংলাদেশের মানুষ এক দলীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটাবে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত‘ চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ ও গণতন্ত্র পুণ: প্রতিষ্ঠায় সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গাজী বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশে হত্যা, মামলা গুম, খুন, ছাড়া আর কিছুই নেই। এই অবৈধ সরকার একটি কাজই করতে পারে, সেটি হল; নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিনা বিচারে হত্যা করা। বাংলাদেশে বর্তমানে গনতন্ত্র নেই, ন্যায় বিচার নেই, নেই কথা বলার স্বাধীনতা এভাবে কোন গণতান্ত্রিক দেশ চলতে পারে না।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে টেন্ডার জমা নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে গোলাগুলির সমালোচনা করে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, এখন পর্যন্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়নি। তাই এই ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে ন্যায় বিচার কখনও আশা করা যায়না।
অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আর বাড়াবাড়ি করবেন না। রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে মুক্তি দিন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদী কায়দায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছে সরকার। এই অবৈধ সরকারে দমণনীতি অতীতের সকল কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা গণতন্ত্র চাই, চাই কথা বলার অধিকার। কিন্তু এই সরকারের কাছে কোন কিছুরই মূল্য নেই।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলামের স্ত্রী জোসনা গাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কণ্ঠ শিল্পী মনির খান, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।