কোয়ার্টার ফাইনালে চোখ দ. আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের

SHARE

ir dটেবিলে দু”দলেরই সংগ্রহ সমান চার পয়েন্ট। তবে এক ম্যাচ বেশি খেলে রান রেটের হিসেবে দ্বিতীয়স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এক ম্যাচ কম খেলে তৃতীয়স্থানে আয়ারল্যান্ড। তাই পয়েন্ট টেবিল বলছে, বেশ ভালো অবস্থানেই রয়েছে দু”দল। কিন্তু পুল এ-র এখনো অনেক পথ বাকি। তারপরও কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে চোখ রেখে নিজেদের অবস্থানকে আরও বেশি শক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে প্রোটিয়াস ও আইরিশরা। ক্যানবেরায় বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের একাদশতম আসর শুরু হবার পর টানা ১৬ দিন চলেছে ব্যাট-বলের লড়াই। তবে আজ সেই লড়াইয়ে হয়েছে বিরতি। একদিন বাদে আবারও বিশ্বকাপ শিরোপা লড়াইয়ে নামবে ১৪টি দল।

একদিন বিরতির পরই মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ড। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও, ভারতের কাছে বাজেভাবে হেরে নিজেদের পারফরমেন্সকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

তবে সমালোচকদের প্রশ্নকে বন্ধ করতে মোটেও সময় ব্যয় করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। পরের ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আকাশ ছোয়া পারফরমেন্স করেছে প্রোটিয়াসরা। ব্যাট হাতে ক্যারিবীয় বোলারদের বেধড়ক পিছিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আসলে পুরো দলের চাইতে, এক জনের কথা বলাই ভালো। কারণ দলপতি এবি ডি ভিলিয়ার্সের দানবীয় ব্যাটিংয়ে নাচতে নাচতে রাজকীয় জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের কাছে হারের রাগটাই হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর ঝাড়েন ডি ভিলিয়ার্স।
ওই ম্যাচে পাঁচ নম্বরে নেমে ৬৬ বলে ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স। সেই সাথে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পুরো বিশ্বের।

তবে এসব নিয়ে এখন আর ভাবতে নারাজ তিনি। দলের খেলা নিয়ে মনোযোগ দিতে চান ডি ভিলিয়ার্স, “আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েই আমরা চিন্তিত। আইরিশরা ভালো দল। ইতোমধ্যে তারা প্রমাণ দিয়েছে। ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট নিতে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের। তা করতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাব । তাই জয়ই প্রধান লক্ষ্য আমাদের।”

দক্ষিণ আফ্রিকার মতো জয় দিয়ে এবারের আসরে যাত্রা শুরু করেছে আয়ারল্যান্ডও। তবে জয়ের সাথে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আত্মবিশ্বাসটা ভরপুর করে নিয়েছে আইরিশরা। তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেয়া ৩০৫ রানের টার্গেট ৬ উইকেট হারিয়ে দারুন এক জয় তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড। পরের ম্যাচে বড় রান তাড়া করে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে তারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২ উইকেটে হারিয়ে টেবিলের ভালো অবস্থায় পৌছায় আইরিশরা।

বর্তমান অবস্থানকে আরও শক্তপোক্ত করে কোয়ার্টার ফাইনালে পথে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের, “এখনো অনেক ম্যাচ বাকি। তারপর দুটি জয়ে ভালো অবস্থায়ে আছি আমরা। এই অবস্থানটি ধরে রাখতে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক শক্তিশালী দল। তাদের হারানো মোটেও সহজ কাজ নয়। তবে আমরা ভয় পাচ্ছি না। আমাদের মনোবল এখন তুঙ্গে। এ ম্যাচেও জিততে চাই। কারণ আমাদের লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল।”

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দু’বার দেখা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের। শেষ দুই বিশ্বকাপের ওই লড়াইয়ে জয়ের স্বাদ পায় প্রোটিয়াসরা। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ৭ উইকেটে এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে জিতে চোকার্স খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকা দল: এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), হাশিম আমলা (সহ-অধিনায়ক), কাইল এ্যাবট, ফারহান বেহারদিয়েন, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), জেপি ডুমিনি, ফাফ ডু প্লেসিস, ইমরান তাহির, ডেভিড মিলার, মরনে মরকেল, ওয়েন পারনেল, এ্যার ফাঙ্গিসো, ভারনন ফিলান্ডার, রিলি রোসৌ, ডেল স্টেইন।

আয়ারল্যান্ড দল: উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড (অধিনায়ক), এন্ড্রু ব্যালবিরনি, পিটার চেজ, এ্যালেক্স কুসাক, জর্জ ডকরেল, জন মুনি, এড জয়সে, এন্ড্রু ম্যাকব্রায়ান, টিম মুরতাহ, কেভিন ও’ব্রায়ান, নিয়াল ও’ব্রায়ান, পল স্টারলিং, স্টুয়ার্ট থমপসন, গ্যারি উইলসন, ক্রেইগ ইয়ং।