ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ইকসু) গঠনের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফরম ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ এর প্রতিনিধি দল। সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপাচার্যের সভাকক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপাচার্য জানান, অর্ডিন্যান্স পাসের ১৫ দিনের মধ্যে ইকসু নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আইনে ইকসুর কোনো বিধান নেই। তাই ইকসু গঠনের জন্য শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির গঠিত গঠনতন্ত্রের খসড়া সিন্ডিকেটে পাস করে ইউজিসিতে পাঠানো হবে। ইউজিসি অনুমোদন দিলে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে খসড়াটি অর্ডিন্যান্স আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে। আশা করি আগামী নভেম্বরের মধ্যে ইকসুর অর্ডিন্যান্স পাস হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা চাইলে ১৫ দিনের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের আয়োজন করা যাবে।’
এ ছাড়া আইনি জটিলতার পাশাপাশি ইকসু গঠনে বাজেটসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের কথা জানান উপাচার্য।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাজেটে ডাকসুর জন্য পৃথক বরাদ্দ থাকে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাজেটে এমন কোনো আলাদা বরাদ্দ নেই। ফলে এই অর্থ কাকে এবং কিভাবে দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা যায় না। সে জন্য প্রয়োজন একটি লিগ্যাল এন্টিটি। এই লিগ্যাল এন্টিটি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন থাকবে, ইকসুও সেই সময়কাল ধরে স্থায়ীভাবে কার্যকর থাকবে।